ঘড়ির কাটা ১০টা ছুঁতেই পালকিতে চেপে মঞ্চে এলেন ক্যাটরিনা কাইফ। নেচে মাতালেন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। তার একক পারফরম্যান্স শেষ হতেই মঞ্চে উঠলেন সালমান খান। দুই বলিউড তারকা একসঙ্গে মাতালেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
সালমান-ক্যাটরিনার ডুয়েট পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে শেষ হল আয়োজন। পুরো অনুষ্ঠান স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে উপভোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ সালমান-ক্যাটরিনা হলেও মঞ্চে তারা খুব বেশি সময় ছিলেন না। দুজনের পারফরম্যান্স ছিল মিনিট তিরিশেক।
সবচেয়ে বেশি সময় মঞ্চে ছিলেন সনু নিগম। ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে শোনা যায় বাংলাদেশের দুটি দেশাত্মবোধক গান- ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’ ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠ স্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি… বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।’ গানের তালে তখন সুর মেলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
সনু নিগমের কণ্ঠে বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গান শুরু হতেই করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান মাঠে উপস্থিত দর্শকরা। পরে এ শিল্পী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতেই তার পরিবেশনা। স্টেডিয়ামে মঞ্চের উল্টোদিকে প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে সনু নিগমের গানে সুর মেলান প্রধানমন্ত্রী। জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায় অভূতপূর্ব দৃশ্যটি!
আরেক ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী কৈলাস খেরও গানে-কথায় মাতিয়ে রেখেছিলেন মঞ্চ। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বিদায় নেন তিনি।
তার আগে গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের আন্দোলিত করেন নগরবাউলের জেমস। বিকেলে বিপিএল উদ্বোধনী কনসার্ট শুরু হয় ‘ডিরকস্টার’ চ্যাম্পিয়ন শুভর গানে। পরে গান পরিবেশন করেন রেশমি মির্জা। কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে ছিলেন না শিল্পী মমতাজ।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী সামনে রেখে এবার বিশেষ বিপিএল আয়োজন করছে বিসিবি। যার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হল উদ্বোধনী কনসার্ট দিয়ে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্টেডিয়ামে এসে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা চার ঘণ্টা ছিলেন স্টেডিয়ামে।
উদ্বোধনী হয়ে গেলেও বিপিএলে ব্যাট-বলের লড়াই শুরু হবে আগামী বুধবার। ১৮ জানুয়ারি হবে ফাইনাল। খেলা হবে মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটে।