বেশ কয়েকটি জেলার নদ-নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও বিভিন্ন জায়গায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকলেও দুর্গতদের ভোগান্তি কমেনি।
কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেরিবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার ১৮টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ১৫ দিন ধরে তলিয়ে আছে সেসব এলাকার ঘর-বাড়ি। পানিবন্দি রয়েছে চিলমারী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
যমুনায় পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসিরা। তবে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে পড়ায় যোগযোগ ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে বইছে।
গাইবান্ধার বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৭৫টি মেডিকেল টিম দুর্গতদের খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুড়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন সাংসদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা।
সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলের ৩৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল এখনো পানির নিচে। শাহজাদপুর উপজেলার আদালতের একাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। খাবার ও পানি সংকটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে এখানকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জ জেলায় নতুন করে পানি না বাড়লেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনার পানি এখনো বিপদসীমার ওপরে। পানিবন্দি হয়ে আছে ৫ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জেলা প্রশাসন বলছে, ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। তবে চরাঞ্চলের দুর্গতরা বেশি কষ্টে আছেন।
দু সপ্তাহ ধরে বাড়ির মধ্যে পানির সঙ্গে বসবাস করায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। খাবার পানির সংকট থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
গণজাগরণ মঞ্চের প্রচেষ্টা
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার মধ্যবর্তী দুর্গম দশঘরিয়ার চর, শিকারপুর, পাঞ্জরপাড়া, সাতবাড়ি, মাছবাড়ি, অষ্টমীর চর, খদ্দবাঁশপাতার চরে এর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, আলু, ডাল, লবণ, গুড়, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, মোমবাতি, ম্যাচ, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি।
এছাড়া তাৎক্ষণিক খাবার সরবরাহের জন্য সংগৃহীত আটা থেকে তৈরি রুটি ও সবজি খিচুড়ি বানভাসি মানুষের মাঝে বন্টন করা হয়।
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহের জন্য অর্থ সহায়তা চেয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। সবার উদ্দেশ্যে নিজের ফেসবুক পেজে বেশকিছু বিকাশ নাম্বার, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অনলাইন মানি ট্রান্সফারের তথ্য পোস্ট করেছেন তিনি। আপনিও চাইলে সাহায্য পাঠাতে পারেন।
বিকাশ নাম্বার: +৮৮০১৭৯৪৭৫৫৫৫৫, +৮৮০১৮৭৩৬৭৪১৯০, +৮৮০১৭২৮৪২৩৫৪৭, +৮৮০১৯১১০৭৩৯৮৬, +৮৮০১৭৫৪৭০৬৮৮৩, +৮৮০১৯৩২২১৫৪৮২, +৮৮০১৯২৯১০১১৮১।
ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং: +৮৮০১৭৫৪৭০৬৮৮৩৮
ব্যাংক একাউন্ট: Mahfuza Haque, Brac Bank, A/C No: 1505100323855001
Paypal: ajanta_dream@yahoo.com
Payza: noman.najmul@gmail.com
Neteller: najmul.noman@gmail.com