অ্যাশেজ সেরার তৃপ্তি মিলিয়ে যাওয়ার আগে বেন স্টোকসের জীবনে নেমে এল নতুন অশান্তি। সেটা একেবারে তার ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে। তাতে বেশ বিরক্ত ইংলিশ অলরাউন্ডার। এক হাত নিয়েছেন প্রচারমাধ্যমকে।
ঘটনাটা কী? সম্প্রতি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’ স্টোকসের পারিবারিক একটি মর্মান্তিক ঘটনাকে সামনে এনেছে। ঘটনা তার মা ডেবের জীবনের।
স্টোকসের জন্মের আগেই তার দুই সৎ ভাই ও বোনকে খুন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তখন বড় মেয়ে ট্রেসির বয়স ছিল আট, ছোট ছেলে অ্যান্ড্রুর চার এবং সেই ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র ছিল বেন স্টোকসের বাবার সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক।
ডেবের সঙ্গে আগে সম্পর্ক ছিল রিচার্ড ডান নামের এক ব্যক্তির। ট্রেসি ও অ্যান্ড্রু তাদেরই সন্তান। কিন্তু রিচার্ডের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে ডেব বিয়ে করেন স্টোকসের বাবাকে। তিনি নিউজিল্যান্ডবাসী রাগবি কোচ জেরার্ড স্টোকস।
ডেবের এই সিদ্ধান্তের পরই মর্মান্তিক কাণ্ডটি ঘটান রিচার্ড। দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেন। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেন।
নিজের সৎ ভাই-বোনদের নিয়ে অতীতে কখনো মুখ খোলেননি স্টোকস। কিন্তু মিডিয়াতে এই ঘটনা সামনে আসার পর টুইটারে দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া দেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। এক হাত নিয়েছেন ট্যাবলয়েড সানকে। নিজের টুইটে স্টোকস বলেছেন, ‘আমার পরিবারের অতি যন্ত্রণাদায়ক, স্পর্শকাতর ও অবশ্যই ব্যক্তিগত একটা ঘটনা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেটাও আবার ৩১ বছর আগেকার।’
তারপর এক হাত নিয়ে তার সংযোজন, ‘এটা অত্যন্ত নিম্নরুচির সাংবাদিকতা। আমি এবং আমার পরিবার গভীরভাবে ব্যথিত। সাংবাদিকতার মোড়কে এরকম ঘৃণ্য এবং নিম্নরুচির প্রতিবেদন সম্পর্কে কী বলব, বুঝে উঠতে পারছি না।’
পারিবারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সানের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ডান এবং ডেবের দুই সন্তান ছিল ট্রেসি এবং অ্যান্ড্রু। ১৯৮৮ সালে যাদের গুলি করে মারে ডান। ওই সময় ট্রেসির বয়স ছিল আট, অ্যান্ড্রুর চার।’
মঙ্গলবার এই কাহিনি প্রকাশ হওয়ার পর তার দীর্ঘ টুইটে বেন আরও লিখেছেন, ‘তিরিশ বছর ধরে এই ঘটনা ভুলে থাকতে চেয়েছিল আমার পরিবার। এই শনিবার দ্য সান এক সাংবাদিককে পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছিল ক্রাইস্টচার্চে। আমার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে। আমার নাম করে বাবা-মার ব্যক্তিগত জীবন ধ্বংস করার এই চেষ্টা ন্যাক্কারজনক।’