শিমুল কান্তি সিনহা ও ফুলপতি চাকমার পর ব্যর্থ হলেন ফাহিমা আক্তারও। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত নারী ভারোত্তোলনের ৫৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশের ফাহিমা দারুণ শুরুর আভাস দিলেও যথারীতি ব্যর্থ হয়েছেন।
ফাহিমা স্ন্যাচে ৬৩ এবং ৬৬ কেজি ভার তুললেও অল্পের জন্য ব্যর্থ হন ৬৯ কেজি তুলতে। ক্লিন এন্ড জার্কে তিনি তোলেন ৮০, ৮৫ এবং ৮৮ কেজি ভার। ফলে ১৫ জন প্রতিযোগির মধ্যে তার জায়গা হয় ১৩তম স্থানে।
এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে নেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার টিয়ে ক্লার টমি। স্ন্যাচে ৮০, ৮৪ এবং ৮৭ কেজি এবং ক্লিন এন্ড জার্কে ১০৭, ১১১ এবং ১১৪ কেজিসহ মোট ২০১ কেজি ভার তুলে সেরা হন তিনি। কানাডার টালি রৌপ্য এবং সলোমন আইল্যান্ডের জেনলি উইনি ব্রোঞ্জপদক জিতেন।
এর আগে পুরুষ ভারোত্তোলনের ৬৯ কেজি ওজন শ্রেণির খেলা হয়। এতে লাল-সবুজ দলের শিমুল কান্তি সিনহা অংশ নিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হন। এই ইভেন্টে ১৪ জনের মধ্যে ১৩তম স্থান পান শিমুল। স্ন্যাচে প্রথমবার ১১৫ কেজি ভার তুললেও পরের দুইবার ১২০ কেজি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। ক্লিন এন্ড জার্কে ১৪০ কেজি তুলতে গিয়ে টানা তিনবারই ব্যর্থ হন শিমুল।
তার আগে একই ভেন্যুতে মেয়েদের ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশের ফুলপতি চাকমাও হন ব্যর্থ। তিনি ১৪ জনের মধ্যে ১২তম স্থান পান। ফুলপতি স্ন্যাচে তোলেন যথাক্রমে ৬২, ৬৬ এবং ৬৮ কেজি ভার। ক্লিন এন্ড জার্কে ৮০ এবং ৮৫ কেজি তুললেও ৮৬ কেজি তুলতে গিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। এই ইভেন্টের স্বর্ণ গেছে ভারতের ঘরে।
ভারতীয় ভারোত্তোলক সঞ্জিতা চানু স্ন্যাচে ৮১, ৮২ এবং ৮৩ কেজি ভার তুলে নতুন গেমস রেকর্ড গড়েন। ক্লিন এন্ড জার্কে তিনি ১০৪ এবং ১০৮ কেজি তুললেও ১১২ কেজি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তবে এতেই নিশ্চিত হয়ে স্বর্ণপদক। মোট ভার তোলেন ১৯২ কেজি। তার চেয়ে ৩৯ কেজি কমে ফুলপতি চাকমা মোট ভার তোলেন ১৫৩ কোজি।
শনিবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে ভার তুলবেন গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সিমান্ত। কারারা স্পোর্টস এন্ড লেইজার সেন্টারে তিনি ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে লড়বেন।