বলিউড সেনসেশনকে ‘পর্নো কুইন’ বলাটা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। সিএনএন ভারতীয়দের হাতে গেলে সাংবাদিকতার হাল কেমন হয়, তা বোঝা গেল। রক্ষণশীল ভারতীয়দের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসে।
জার্নালিজম এমন এক আর্ট যেখানে ক্ষেত্রবিশেষে ‘সত্য’ বলাটা অন্যায়। সানি লিওনের সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন করাটা স্রেফ ইভটিজিং নয়, স্পষ্ট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট। মিডিয়ার পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
সানি লিওনের অতীতকে ভারত গ্রহণ করেছে। বলিউড গিলে খেয়েছে। দর্শকপ্রিয়তা চরমে। গুগল সার্চে বছরের পর বছর শীর্ষে।
দুনিয়া আসলেই পিত্তলদি, নইলে সিএনএন-আইবিএনের ‘হট সিট’ প্রোগ্রামে সানি লিওনকে কাঁদতে হবে কেন?
বাইজিরাও পতিতা ছিল, এটাই উপমহাদেশের ট্রাডিশন। পাবলিকলি এই বাইজির ওই সাইড-বিজনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা সামাজিক অন্যায়।
তবে ইন্ডিয়ান জার্নালিজম সেই নর্মসও হারিয়েছে। যুগ যুগ ধরে বলিউড যে জিসমের আরাধনা করছিল, জিসম-টুয়ে এসে তাকে পেলো ইন্ডাস্ট্রি। তবে কেন এই রেন্ডিয়া আখ্যা?
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)