আমদানি করা পাথর বদলে দিয়েছে পঞ্চগড়ের অর্থনীতির চিত্র। প্রতিদিন আমদানি হচ্ছে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টন পাথর। এ শিল্পে কাজ করা প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক দৈনিক আয় করছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় পাথর উত্তোলন কমেছে। কাজের অভাবে উত্তরবঙ্গের এ এলাকাগুলো এতোদিন ছিলো মঙ্গাকবলিত। বদলে যাচ্ছে সে চিত্র।
এসব এলাকায় গড়ে উঠছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। শুধু পঞ্চগড়ের চা আর পাথর শিল্পেই কাজ করছে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক। পাথর শ্রমিকরা বলেন আগে মাঠে কাজ করে ১’শ টাকা পেতেন কিন্তু এখন প্রতিদিন ২’শ ৭০ টাকা আয় করেন তারা।
ভূগর্ভ থেকে পাথর তোলা কৃষি আর পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সম্ভাবনাময় এ খাতকে টিকিয়ে রাখতেই পাথর আমদানির উদ্যোগ সরকারের। শব্দদূষণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে লোকালয় থেকে দূরে গড়ে তোলা হয়েছে পাথর শিল্প। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার পাথর-ভাঙা মেশিন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব পাথর শিল্প শুধু উত্তরবঙ্গই নয় বদলে দিতে পারে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চিত্র।
পঞ্চগড় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম কামনুজ্জান বলেন,‘ এই শিল্পে এখন প্রায় ৩০ হাজার লোক কাজ করছে।’তবে ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ায় সুপারিশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।