ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার পাটের ভালো ফলন পাওয়া গেছে। পাট কাটা, আঁশ ছড়ানো, জাগ দেয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক। ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে পাটের আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষক। পাট আবাদে সার, বীজ, শ্রমিকসহ কৃষকের উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রতি বিঘায় সাত-আট হাজার টাকা। সে হিসেবে এবার বাজার দর ভালো বলে জানাচ্ছেন কৃষক।
কৃষকরা বলছে, সরকার ভালো দাম দেওয়ায় আমরা এ বছর পাট চাষ বেশি করেছি। এবারের পাটে প্রত্যেক কৃষকের প্রায় ৮থেকে ৯ হাজার টাকার লাভ হয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, সরকার যদি পাটের উপর একটু নজর বেশি দেন তাহলে চাষিরা বেশি পাট চাষ করবে আর লাভবান হলে পাট চাষে সবাই উদ্যোগ নেবে।
এ বছর জেলায় তিন হাজার সাতশ’ ৯০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে আরো বেশি জমিতে, জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু নাসের বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজ, সার এবং প্রযুক্তিগত সবধরণের পরামর্শ দেওয়ায় এবছর পাটির উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। পাটের বাজার-দরও খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে তাই কৃষকরা বেশ আনন্দিত। প্রতি হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে নয় দশমিক সাত তিন বেল।