বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল এবং রাজশাহী পাটকল শ্রমিকরা চতুর্থ দনের মত আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে।
এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শ্রমিকরা গত রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৫ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়েছে। গেল ৪ দিনে মোট অর্ধশতাধিক অনশনে অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনশনস্থলে শতাধিক শ্রমিককে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার খালিশপুর, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রায় হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে অনশনে যোগ দিয়েছেন পাটকল শ্রমিকলীগের নেতারা।
খালিশপুরে ক্রিসেন্ট, প্লাাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর ও দিঘলিয়ার ষ্টার মিলের শ্রমিকরা বিআইডিসি রোড়ে , আটরা শিল্প এলাকার আলীম, ইস্টার্ন এবং নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার কার্টেং , জেজেআই মিলের শ্রমিকরা স্ব স্ব মিল গেটে অবস্থান নিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন কর্মসুচি পালন করছে। তীব্র শীতের মধ্যে রাত দিন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করে একের পর এক অনাহারী শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
রাজশাহী পাটকল শ্রমিক সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে দেয়া দাবিগুলো না মানার কারণে স্থগিত আন্দোলন পুনরায় চালু করা হয়েছে। দাবি যতদিন পর্যন্ত না মানা হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৩ নভেম্বর থেকে সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধর্মঘটের মত কর্মসূচিও পালন করে দেশের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা।
এর মধ্যে রাজশাহীতে একটি, খুলনায় নয়টি, নরসিংদী একটি ও চট্টগামে একটি। দাবি আদায় না হওয়ায় আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে তারা।