জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রায় তিন দশক পর আবার আলোচনায় ‘পাগল মন মনরে, মন কেন এতো কথা বলে’ গানটি। মূলত গানটি নিয়ে এবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। গানের মূল শিল্পী দিলরুবা খান ও সুরকার আশরাফ উদাসের অভিযোগ- লিখিত কোনো অনুমতি না নিয়ে জনপ্রিয় এই গানের কিছু অংশ গেল বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যবসাসফল ছবি ‘পাসওয়ার্ড’ এর একটি গানে ব্যবহার করা হয়েছে।
কপিরাইট ভঙ্গ করার অভিযোগে ওই ছবির প্রযোজক শাকিব খান ও একটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি’র বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
গানটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি হওয়ায় দুই পক্ষ থেকেই আসছে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য। এদিকে গানটির উৎস খুঁজতে গিয়ে চ্যানেল আই অনলাইন পেয়েছে বেশকিছু অজানা তথ্য।
‘পাগল মন’ গানটি সবার প্রথমে রেকর্ড করেন নন্দিত লোক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান। ‘চেনা সুর’ নামে তার নিজস্ব অডিও প্রকাশনা থেকে ১৯৮৯ সালে অ্যালবামটি প্রকাশ পায়। ওই অ্যালবামের গানগুলো গেয়েছিলেন আশরাফ উদাস। অ্যালবামে সবার প্রথম গানটিই ছিলো ‘পাগল মন’।
‘পাগল মন’ গানের শুরুর ইতিহাস জানিয়ে শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে হাসান মতিউর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, সবার প্রথম আমিই ‘পাগল মন’ গানটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ১৯৮৯ সালে ওই অ্যালবামটি প্রকাশ করি। তবে গানটি আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন আশরাফ উদাস। ওই অ্যালবামের গানগুলোও তিনিই গেয়েছেন। আশরাফ উদাস আমাকে বলেছিলেন, ‘পাগল মন’ তার সুর করা গান। তবে তখন এই গানের গীতিকার কে, আমাকে বলেননি। অ্যালবামের বাকি গানগুলোর বেশির ভাগ ছিলো সংগৃহিত, লোক গান। তাই গীতিকারের জায়গায় আমিও সংগৃহিতই লিখেছিলাম। আর কিছু গান ছিলো আমার লেখা ও সুর করা।’
তিনি বলেন, আমার কোম্পানি থেকে ‘পাগল মন’ গানটি রিলিজের আরো বছর তিনেক পরে বাবুল চৌধুরীর ‘ডন মিউজিক’ এর ব্যানারে গানটি পুনরায় প্রকাশ পায়। ওই গানের শিল্পী ছিলেন দিলরুবা খান। আমি তখন ইচ্ছে করলে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধেও অ্যাকশনে যেতে পারতাম। কিন্তু গানটির কথা যেহেতু আমার না, আর আশরাফ উদাস- আমরা একই সঙ্গে কাজ করতাম, এবং দিলরুবা খানের মতো পরিচিত একজন শিল্পী গানটি করছেন, তাই কোনো ব্যবস্থা নেইনি। শিল্পীদের মধ্যে যদি আন্তরিকতা না থাকে, তাহলে কিসের শিল্পী? গান নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়িরতো কিছু নেই। তখন আমরা এভাবেই ভাবতাম।
তারই কথার প্রেক্ষিতে কথা হয় তৎকালীন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডন মিউজিক এর কর্ণধার বাবুল চৌধুরীর সাথে। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, দিলরুবা খানকে নিয়ে ১৯৯২ সালে নতুন অ্যারেঞ্জমেন্টে ‘পাগল মন’ গানটি করে ডন মিউজিক। সে হিসেবে দিলরুবা খানের গাওয়া পাগল মন গানটির মালিকানা তার প্রতিষ্ঠানের।
তিনি বলেন, ‘পাগল মন’ গানটির রেকর্ডিং করেছেন রাজা হাসান। গানটি নিয়ে তিনিই বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন ডন মিউজিকের ব্যানারে ‘পাগল মন’ গানের রেকর্ডিস্ট রাজা হাসানের শরণাপন্ন হলে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বেশকিছু অজানা তথ্য দেন। তার দাবি, ‘পাগল মন’ পুরোপুরি একটি লোক গান। এটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত একটি গান ছিলো। তিনি বলেন, নতুন করে যখন গানটি নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন ক’দিন আগেই আমার এক বন্ধু বললেন, ‘‘সত্তরের দশকে ময়মনসিংহের বিহারি পট্টিতে এক ফেরিওয়ালার মুখেও ‘পাগল মন’ গানটি তিনি শুনেছেন।’’
রাজা হাসান বলেন, গানটি রেকর্ড করার অনেক আগেই অনেকে খুলনা, রাজশাহী বেতারেও ‘পাগল মন’ গানটি শুনেছেন। এটাতো ঢেকে রাখার কিছু নাই। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাহলে গানটির গীতিকার কীভাবে আহমেদ কায়সার হন? আর নিজেকে কী করে সুরকার দাবি করেন আশরাফ উদাস? এটা লোকগান বলেই আমরা যখন দিলরুবা খানকে দিয়ে ১৯৯২ সালে গানটি প্রকাশ করি, তখন অ্যালবামে সুরকারের নাম দেইনি। মানুষের মুখে মুখে যে সুর প্রচলিত ছিলো, সেই সুর কেন অন্যকেউ দাবি করবে? এটাতো অন্যায়। ‘পাগল মন’ গানের সুর করেছেন বলে এখন অনেকেই নিজেকে সুরকার দাবি করছেন। আশরাফ উদাসও দাবি করছেন তিনি সুরকার, এক সময় মান্নান মুহাম্মদও এমনটা দাবি করতো।
শুধু তাই নয়, ‘পাগল মন’ গানটির সুরকে ভারতীয় শিল্পী লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া ‘আষাঢ়ে শ্রাবণ, মানে নাতো মন’ এর সুর থেকে নেয়া বলেও মন্তব্য করেন রাজা হাসান। তবে গানটির কথা ও সুর যেহেতু লোক মুখে প্রচলিত, তাই এটিকে বড় করে দেখছেন না তিনি।
তার দাবি, ডন মিউজিক যখন ‘পাগল মন’ গানটি হাতে পায়, তখন গানটি ছিলো দুই অন্তরায়। পরবর্তীতে আহমেদ কায়সারকে দিয়ে গানটির তৃতীয় অন্তরা লিখিয়ে নেয়া হয়। ‘আশি তোলায় সের হইলে, চল্লিশ সেরে মণ, মনে-মনে এক মন না হইলে, মিলবে না ওজন’- এই অশংটুকুর গীতিকার আহমেদ কায়সার, বাকি অংশটুকু লোক মুখে প্রচলিত।
তবে ‘পাগল মন’ গান নিয়ে রাজা হাসানের এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দেন গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করা ‘চেনা সুর’ এর কর্ণধার হাসান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে আমার কোম্পানি থেকে যে গানটি আশরাফ উদাসের কণ্ঠে প্রকাশ পায়, হুবুহু সেই একই গান ১৯৯২ সালে ডন মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশিত হয়। গানের কথায় কোনো পরিবর্তন ছিলো না। আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ ও সেই সময়ের রেকর্ডিং গানও রয়েছে।
শুধু হাসান মতিউর নন, ‘পাগল মন’ গান নিয়ে রাজা হাসানের এমন বক্তব্যকে ‘মনগড়া’ বলে মন্তব্য করে আশরাফ উদাস। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ত্রিশ বছর আগের কথা, এখন অনেক কিছুই অষ্পষ্টভাবে আসছে। কিন্তু রাজা হাসান যে কথাগুলো বলছেন, তা পুরোপুরি ভুল। দিলরুবা খানের আগে সর্বপ্রথম আমার কণ্ঠে গানটি রেকর্ড হয়েছে সত্য, কিন্তু গানটি সবার আগে যিনি গেয়েছেন তিনি হাসিনা চৌধুরী। তার আগে এই গানটি কেউ গায়নি, সত্তরের দশকে এই গানটি কারো শোনার প্রশ্নই আসে না। এটা মনগড়া কথা। গানটির লেখক আহমেদ কায়সার, সুরকার আমি। অনেকেই হয়তো সাল-বছর ঘুলিয়ে ফেলছেন। রেকর্ড বা বেতারে গানটি যাওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন স্টেজ শোগুলোতে গানটি গাইতেন হাসিনা, এজন্যও এমন ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
দেশের কপিরাইট আইনমতে, জনপ্রিয় গান ‘পাগল মন’ এর গীতিকার আহমেদ কায়সার, সুরকার আশরাফ উদাস, শিল্পী দিলরুবা খান। গানটির প্রকৃত মালিক তিনজনই। তবে আশরাফ উদাসের দাবি, মূল শিল্পী হিসেবে হাসিনা চৌধুরীর নামও অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন। কেননা, এই গানটি তিনিই সবার আগে গেয়েছেন। তার কাছ থেকেই চেয়ে নিয়েই দিলরুবা খান প্রথম বেতারে গানটি পরিবেশন করেন। পরবর্তীতে ডন মিউজিকের ব্যানারে গানটি প্রকাশ পায় ১৯৯২ সালে। যা দেশব্যাপী তুমুল হিট গানে পরিণত হয়।
আশরাফ উদাস বলেন, হাসিনা চৌধুরি যেহেতু বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন না, বেতারের জন্য তাই তার কাছ থেকে গানটি চেয়ে নিয়েছিলেন দিলরুবা খান। এই গানের গীতিকার প্রয়াত আহমেদ কায়সার ও স্বয়ং আমি দিলরুবা আপার এখানে গিয়ে গানটির সুর তুলে দিয়ে আসি। পরবর্তী রেকর্ডিং করার সময় দিলরুবা আপা নিজেই হাসিনা চৌধুরীর কাছ থেকে আবার অনুমতি নেন আধুনিক ভার্সনে গানটি করার জন্য। কারণ তখন ক্যাসেট বের করার প্ল্যান ছিলো। শিল্পীরা সাধারণত উদারই হয়, হাসিনা চৌধুরীও তখন দিলরুবা খানকে ক্যাসেট করার মৌখিক অনুমতি দেন। আগে তো কপিরাইট আইনই ছিলো না, সবই জবানের উপর নির্ভর করতো।
তবে যে যাই বলুক, একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, ‘পাগল মন’ গানটির জনপ্রিয়তা চূড়ায় পৌঁছে দিলরুবা খানের কণ্ঠেই। ১৯৯২ সালে ডন মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ হওয়ার পর সারা দেশে সাড়া পড়ে যায়। এক গানেই তখন হিট হয়ে যান দিলরুবা।
‘পাগল মন’ গানটি তিনি কীভাবে পেলেন? চ্যানেল আই অনলাইনের এমন প্রশ্নে দিলরুবা খান বলেন, সম্ভবত ১৯৮৯-৯০ এর দিকে হবে। আমি নতুন শিল্পী তখন। বেতারে গাই। গানটি আমাকে দেন গীতিকার আহমেদ কায়সার। তার কাছ থেকে প্রথমে গানটি পেয়ে বেতারে গাই। এরপর ১৯৯২ সালে ডন মিউজিকের ব্যানারে গানটি করি। অভাবনীয় সাড়া পড়ে যায়।
আপনার গাওয়া গানটির সত্ত্ব কি ডন মিউজিকের, বা তাদের সাথে আপনার কোনো চুক্তি হয়েছেছিলো তখন? এমন প্রশ্নে এই শিল্পী বলেন, তখন আমি একেবারে নতুন শিল্পী। আর এই গান যে এতো হিট হয়ে যাবে, কে জানতো! ওই কোম্পানির সাথে কোনো সত্ব নিয়ে চুক্তির প্রশ্নই আসে না। তারা যদি এমনটা দাবি করেই থাকেন, তবে প্রমাণ দেখাক। তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যদিও দিলরুবার এমন কথায় তৎকালীন ডন মিউজিকের রেকর্ডিস্ট রাজা হাজান বলছেন, ‘তাদের কাছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলো সামনে আনবেন।’
তবে এসব মৌখিক কথাকে আমলে নিচ্ছেন না আইনজীবী ওলোরা আফরীন। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, যদি তাদের কাছে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট বা প্রমাণ থাকে যে ‘পাগল মন’ গানটির সত্ব তাদের, তবে তারা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে যাচ্ছেন না কেন? মুখের কথায় তো আইন চলে না, আইন কাগজ দেখে। উপযুক্ত প্রমাণ আর কাগজের উপর ভিত্তি করেইতো মালিকানা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, সব প্রমাণ হওয়ার পরেইতো ইতিমধ্যে ‘পাগল মন’ গানটির গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীকে কপিরাইট অফিস সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এখন ডন মিউজিক বা অন্য যে কেউ যদি মনে করেন যে ‘পাগল মন’ গানটির উপর তাদেরও অংশিদারিত্ব রয়েছে, তবে তারা প্রমাণাদি নিয়ে কপিরাইট অফিসে যাক।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কপিরাইট অফিসে আইনজীবী ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন মনিটর করেন। কপিরাইট করা কোন অনুষ্ঠান বা গান কপিরাইট ভঙ্গ হচ্ছে কিনা, এটা মনিটর করতে গিয়েই ‘পাগল মন’ গানের কপিরাইট সংশ্লিষ্ট জটিলতার বিষয়টি ধরা পড়ে।
‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে গানটি ব্যবহৃত হয়েছে গেল বছর। এতোদিন পর কেন কপিরাইট নিয়ে প্রশ্ন উঠলো? এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘কালেকটিভ ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন’ থেকে আমি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ‘অডিও ভিজ্যুয়াল’ এর বাণিজ্যিক ব্যবহারগুলোর তদারকির জন্য। দিলরুবা খান হচ্ছেন আমাদের সদস্য। তো উনার গানের তালিকা অনুযায়ি যখন আমরা মনিটরিং করতে গেলাম, তখন দেখলাম যে অমুক অমুক জায়গায় উনার ‘পাগল মন’ গানটির বাণিজ্যিক ব্যবহার হচ্ছে, এবং অনুমতি নেয়া ছাড়াই। তারপর আমরা এই গানের গীতিকার, সুরকারকে খুঁজে বের করি। তাদেরকে বলি যে, গানটি ব্যবহারে তারা অনুমতি দিয়েছেন কিনা? তারা এই বিষয়ে জানেনই না। এরপর তাদের পক্ষে তিনজন আইনজীবী প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান গেল ৭ মার্চ। তারপর শাকিব খান দুইবার আসেন, কিন্তু তাদের মধ্যে নেগোসিয়েশন বিষয়টি সুরাহা হয় না। এরপরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
যেখানে সিনেমার বাজেট দেড় থেকে দুই কোটি টাকা, সেখানে এক গানের জন্যই ক্ষতিপূরণ মামলা ১০ কোটি টাকা! এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন, জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন: নব্বই দশকের সবচেয়ে আলোচিত গানগুলোর একটি ‘পাগল মন’। রেকর্ড সৃষ্টি করা একটি গান। কিন্ত পাসওয়ার্ড এর জন্য এই গানটিই কেন পছন্দ করলেন ছবির প্রযোজক? কারণ, সিনেমা মুক্তির আগে গানই হচ্ছে প্রচারণার অন্যতম কৌশল। এই গানটি এখনো উনার ইউটিউব চ্যানেলে ১৯ মিলিয়নের বেশি ভিউ! এটা থেকে তিনি অর্থ পাচ্ছেন না? উন্নত বিশ্বে মেধাসত্ত্ব লঙ্ঘনের শাস্তি আরো ভয়াবহ। কিন্তু আমরা যেহেতু বিষয়টি নিয়ে এখনো সচেতন নই, তাই এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে, যে কেউ চাইলেই যে কারো সৃষ্টি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করতে পারেন না। আর উনি বাংলাদেশের একজন ব্র্যান্ড, উনি যদি আইন অমান্য করেন তাহলে অন্যরা কী শিখবে?
উলোরা আফরীন বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আমরা শিল্পীদের মেধাসত্ত্ব নিয়ে কাজ করছি। গানগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহার মনিটর করি এবং সেখান থেকে প্রকৃত শিল্পীদের রয়ালিটি আদায় করে দেই।
এসময় কপিরাইট নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান এই আইনজীবী।