পাকিস্তান গিয়ে টেস্ট খেলার পক্ষপাতী ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু মঙ্গলবার দুবাইয়ে আইসিসি সদর দপ্তরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর ঠিক হয়ে যায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি যোগ হয়েছে একটি ওয়ানডেও।
পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি ও আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, সফরে তিন ধাপে তিন সংস্করণেই খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার দেশে ফিরে নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন কেনো পাকিস্তান গিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
‘আইসিসি প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে আমার আগেই কথা হয়েছিল এই সময়টায় উনি দুবাই থাকবেন, আমি সময় পেলে যেন দেখা করি। গিয়ে দেখলাম পাকিস্তানও আছে ওখানে। আমাদের আগেই তারা গিয়েছে। ওনাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে।’
‘যে, একটা টেস্ট এবং টি-টুয়েন্টি খেলে আসা যায় কিনা। আমরা বলেছি শুধু টি-টুয়েন্টি খেলে চলে আসতে চাই। তারপর একটা সময় যাবো। পাকিস্তানের বেশ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে খেলার আগে আমাদের একটা অনুশীলন ম্যাচ দরকার। ওরা বলেছিল টি-টুয়েন্টি করা যায় কিনা। টি-টুয়েন্টি হলে তাদের কিছুটা পোষাবে। তিনবারে একটা সিরিজ আয়োজন করা তাদের জন্য অনেক খরচ বেড়ে গেছে। এত সময়ও নেই তারা নতুন করে মার্কেটিং করতে পারবে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে টি-টুয়েন্টির চেয়ে একটা ওয়ানডে ম্যাচ হলে অনুশীলনটা একটু ভালো হবে।’
‘বাংলাদেশ সরকার থেকে যেটা বলা আছে, আগের থেকে আমরা যেটা বলে আসছি সেটাই লেখা আছে। তারা বলেছে স্বল্প সময়ের জন্য যেতে। অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তীতে টেস্টগুলো খেলবে। আমরা এখন পর্যন্ত সেই ধারাতেই আছি।’
অনিশ্চিত সফরটি হঠাৎ নাটকীয় মোড় নেয়ায় অনেকেই নাজমুল হাসানের সমালোচনা করছেন। সেটির প্রেক্ষিতেও বলতে হল বিসিবি সভাপতিকে।
‘আমি জানি না এটা কেনো বলছে। ওরা কখনোই বলেনি আমরা টি-টুয়েন্টি খেলে আসবো। ওরা প্রথমে বলেছে ফুল সিরিজ খেলতে হবে। পরে বলেছে আগে টেস্ট খেলতে হবে। এখন এটা তারা (সমালোচকরা) কেনো বলছে এটার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে এটা অদ্ভুত লাগছে। আমরা যেটা বলেছি আমার মনে হয় এটাই হয়েছে। যেদিন প্রথম মিডিয়াতে বলেছি, এটাই বলেছি প্রথমে টি-টুয়েন্টি খেলে আসবো পরে আমরা টেস্ট খেলবো।’
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরে সিরিজের তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। দেশে ফিরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টেস্ট খেলতে টাইগাররা আবারও যাবে পাকিস্তানে। ৭-১১ ফেব্রুয়ারি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।
বাংলাদেশের তৃতীয় দফার সফর এপ্রিলে। ৩ এপ্রিল করাচীতে একটি ওয়ানডে খেলবে দুদল। তারপর একই শহরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আরেকটি টেস্ট ৫-৯ এপ্রিল।