অংশ নিতে যাওয়া পাঁচ দলের মধ্যে শক্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশই। ফারাকটা ভালোই জানা আশরাফুল ইসলামের। ট্রফি উন্মোচনের পর অবশ্য স্বপ্নের পরিধি বড় রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, অন্তত একটি ম্যাচে সুখবর নিয়ে মাঠ ছাড়ার কথাও।
‘বিগত দুই বছর আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। পাকিস্তানও অনেকদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে না। সকলের বিপক্ষেই আমরা ভালো খেলতে চাই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করার দিকে আমাদের ফোকাস বেশি থাকবে।’
স্বাগতিক অধিনায়কের এ কথাই উঠে এলো পাকিস্তানকে হারানোর স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ। অবশ্য আসরের বাকি প্রতিপক্ষ ভারত, জাপান, সাউথ কোরিয়ার চেয়ে কোনো অংশে কম শক্তির নয় পাকিস্তানও।
পাকিস্তানের বিপক্ষেই নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আসরে নামছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে হারার স্মৃতি সঙ্গী হচ্ছে আশরাফুলের দলোর। মূল আসরে একই দলের বিপক্ষে ভালো ফলের প্রত্যাশা সামনে আনছে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়ার বিষয়টিও।
‘প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলার ধরন, কৌশল আমরা দেখছি। কোচ ও কোচিং স্টাফরা প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলার ধরন-কৌশল বিশ্লেষণ করছেন। ম্যাচ বাই ম্যাচ হিসেব করে আমরা খেলতে চাই।’
‘প্রতিযোগিতা শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচগুলোতে দল নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন কোচ। আমাদের ভালো খেলার পথে ম্যাচ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’ যোগ করেন দলনেতা আশরাফুল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশেষ কিছু করার কথা জানালেও বাস্তবতার নিরিখে মাটিতেই পা রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন শক্তির বিচারে প্রতিপক্ষের এগিয়ে থাকার বিষয়টি।
‘অনেক বড় একটা প্রতিযোগিতা। আমরা সামর্থ্যর সেরাটা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলব। এশিয়ার সেরা দলগুলো এসেছে। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ভারত অলিম্পিকের পদক জয়ী। অন্য দলগুলোও শক্তির বিচারে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আমরা কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে পারলে দল ভালো নৈপুণ্য দেখাবে বলে বিশ্বাস করি।’