পাকিস্তানকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আত্মজীবনী কল সাইন কেঅস: লার্নিং টু লিড বইয়ে এ কথা বলেছেন তিনি।
বইয়ে ম্যাটিস বলেন, সামরিক বাহিনীতে কয়েক দশক এবং তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাবিনেটের সদস্য হিসেবে পুরো পেশাগত জীবনে যতগুলো রাষ্ট্রকে তিনি মোকাবেলা করেছেন সেগুলোর মধ্যে পাকিস্তানই ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, দেশটির সমাজে মৌলবাদের মাত্রা এবং সরকারের কাছে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে পাকিস্তানকে নিয়ে এমনটি বলেছেন।
‘আমরা তো বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পারমাণবিক অস্ত্রাগার জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে দিতে পারি না, তাও আবার যে সন্ত্রাসীরা তাদের মাঝেই তৈরি হচ্ছে। এর ফল হবে ধ্বংসাত্মক।’
সাবেক এই মন্ত্রী লিখেছেন, পাকিস্তানে এমন নেতার অভাব রয়েছে যারা নিজ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন। উদাহরণ হিসেবে পাক-মার্কিন সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু চাইলে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলোর একটা ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভক্তি খুব বেশি গভীর, আর বিশ্বাস খুবই কম, তাই সমাধান আর হচ্ছে না।’
এই বিশ্বাসের অভাবের কারণেই ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল পাঠিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে ধরার অভিযান চালানোর আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পাকিস্তান সরকারকে জানাননি।
এছাড়াও বইয়ে ভারতকে নিয়ে পাকিস্তানের ‘আসক্তি’ নিয়ে সমালোচনা করেছেন ম্যাটিস। তিনি বলেন, দেশটি সব ধরনের ভূ-রাজনীতিকেই ভারতের সঙ্গে তার শত্রুতার নিরীখে বিচার করে।
‘একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পাকিস্তানের আফগানিস্তান বিষয়ক নীতিমালা সাজানো হয়েছে। কেননা পাকিস্তান কাবুলে এমন একটি বন্ধুভাবাপন্ন সরকার চেয়েছে যাকে ভারত প্রভাবিত করতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
জেমস ম্যাটিস একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের অধীনে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।