গত মাসে পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি আসর। সেই টুর্নামেন্টে খেলা এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিং প্রস্তাব দিয়েছে জুয়াড়িরা, এমন জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিষয়টি তদন্তে নেমেছে দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এফআইএ)।
বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, অভিযোগকারী ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি। রাওয়ালপিন্ডির এক জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন বলে বোর্ডকে জানিয়েছেন সেই ক্রিকেটার।
অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্তের ভার প্রথমে পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) ও পরে এফআইএয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের সিকিউরিটি ডিরেক্টর লে. কর্নেল(অব.) আসিফ মাহমুদ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি কাপ। টুর্নামেন্টের আগে খেলোয়াড়দের দুর্নীতি বিরোধী ক্লাস নেয়া হয়েছে। পিসিবি খেলোয়াড়দের জন্য এ বিষয়ে নিয়মিত শিক্ষামূলক ব্রিফিং নেয়া হবে বলেও জানায়।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর থেকে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে পিসিবি। লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং কাণ্ড প্রমাণিত হবার পর সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি।