চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা

টানা আট বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক সরকারের শাসন চলে আসছে পাকিস্তানে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে আচমকা দেশজুড়ে সেনা প্রধানের ছবিতে ছেয়ে যাওয়ার পর দেশটিতে আবার সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। তার উপর পানামা দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে জোর জল্পনার আশঙ্কা আরো বেড়েছে।

শরিফ সরকারকে হটিয়ে সামরিক আইন জারি করে, সেনা প্রধান রাহিল শরিফকে নতুন সরকার গড়ার ডাক দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে স্বল্প পরিচিত রাজনৈতিক দল ‘‌মুভ অন পাকিস্তান’‌।

লাহোর, হায়দ্রাবাদ, পেশাওয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, ফয়সলাবাদ, সারগোধা ও কোয়েটাসহ দেশের ১৩ টি শহরে সেনা প্রধান রাহিল শরিফের ছবিসহ পোস্টার লাগানো হয়েছে।

আগামী নভেম্বরে অবসরে যাবেন রাহিল শরিফ। সে কথা উল্লেখ করে পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘বিদায় নেওয়ার ভাবনা পুরনো হয়ে গেছে। আল্লাহ’র দোহাই এবার ফিরে আসুন।’

এ ব্যাপারে ওই দলের প্রধান উদ্যোক্তা আলি হাশমির দাবি, নওয়াজ শরিফের আমলে দেশের শাসন ব্যবস্থার অবনতি হওয়া ছাড়া উন্নতি হয়নি। অবিলম্বে এই সরকারকে উৎখাত করা হোক। দেশের কথা ভেবে অবসরের ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন রাহিল। বরং গোটা দেশে সামরিক আইন জারি করে প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে নতুন সরকার গড়া উচিত তার।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সেনাপ্রধানকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঝেড়ে ফেলে দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছিল স্বল্প পরিচিত রাজনৈতিক দলটি।

পোস্টার টানানোর সাথে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ আইএসপিআরের ডিরেক্টর জেনারেল লে. জেনারেল আসিম বাজওয়া এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সেনাবাহিনী বা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত কেউ পোস্টার ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

যারা পোস্টার লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেদেশের একজন মন্ত্রী। এই ধরনের বোকামি কাজ দেশের জন্য ভাল নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি)।