পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খান প্রদেশে একটি আদালত চত্তরে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও পেশোয়ারে একটি খ্রীষ্টান কলোনিতে বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। মারদান জেলা আদালতের সামনে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় ১০ জন। আর পেশোয়ারে খ্রীষ্টান কলোনিতে হামলায় চার হামলাকারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ওয়ারসাক বাঁধের কাছে খ্রীষ্টান কলোনিতে বন্দুকধারীরা নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সে সময় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে নিহত হয় ৪ হামলাকারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা আত্মঘাতী জ্যাকেট পরা ছিলো এবং ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তানি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘ জামাতুল আহরার’ জঙ্গি গোষ্ঠী। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়া জানিয়েছেন, দু’পক্ষের দুলির লড়াই চলাকালীন দুই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। বাকি দু’জনকে গুলি করে হত্যা করে সেনারা।
এদিকে, পেশোয়ারে হামলার পরপর একই প্রদেশের মারদানে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ডন নিউজ জানায়, জেলা আদালতের সামনে ঘটনো ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছে বহু মানুষ। সেখান থেকে ১১২২ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কোয়েটার এক আদালতে আত্মঘাতী হামলায় ৭৩ জন নিহত হয়, যার অধিকাংশই আইজীবী।