পাকিস্তানের হাতে ভূপাতিত হওয়া ভারতীয় বিমানের পাইলটের মুক্তি দাবি করেছে ভারত। এমনকি ওই ভারতীয় সেনার মুক্তি চেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি লেখক ফাতিমা ভুট্টোও।
এর আগে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের শেয়ার করা ভিডিওতে আটক ওই পাইলটকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত দেখা গেছে। ভারত এই ভিডিওকে ‘আহত কর্মকর্তার কুরুচিপূর্ণ প্রদর্শন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভারতীয় ব্যবহারকারীরা ওই পাইলটকে ‘নায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। তবে অন্য অনেকেই দুই দেশকেই হ্যাশটাগ ‘সে নো টু ওয়ার’ ব্যবহার করে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রও ভারত-পাকিস্তানকে আরও বেশি সেনা আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই উত্তেজনা কমাতে বদ্ধপরিকর তারা।
গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে জঙ্গিদের বোমা হামলায় অন্তত ৪২ জন ভারতীয় আধাসামরিক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার পরেই উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।
এরপর ১৮ই ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত এক কর্মকর্তাসহ ৪ ভারতীয় সেনা নিহত হন।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে ১০০০ কেজি বোমা ফেলে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার কাশ্মীরে ভারতীয় দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। সেখানে এক পাইলটকে আটক করার কথাও বলে তারা। আটক ওই পাইলটের নাম অভি নন্দন। তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার।