একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল পাকিস্তান। সরাসরি কিছু না বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে রেখেছিল লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। অবশেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তারা। পূর্ণাঙ্গ নয়, পাকিস্তানের মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে ম্যাথুজদের বোর্ড।
‘দুই টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠানোর মতো অবস্থানে নেই আমরা। তবে আটদিনের মধ্যে তিন ওয়ানডে কিংবা টি-টুয়েন্টি খেলা সম্ভব।’ বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়টি এভাবেই নিশ্চিত করেছেন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো।
শুক্রবার ঠিক করা হয়েছে সিরিজের সময়সূচী। শুরুতে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলার কথা থাকলেও টেস্টের বদলে সূচী পাল্টে তিন টি-টুয়েন্টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিরিজে।
২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ানডে খেলতে করাচি পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সেখানে সেপ্টেম্বরের ২৭, ২৯ ও অক্টোবর ২ হবে তিন ওয়ানডে। এরপর লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে ৫,৭ ও ৯ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে তিন টি-টুয়েন্টি।
১০ অক্টোবর দেশে ফিরবে শ্রীলঙ্কা। ডিসেম্বরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ খেলতে লঙ্কা সফরে যাবে পাকিস্তান।
ফোনালাপের মাধ্যমে সিরিজের সময়সূচী নির্ধারণ করেন পিসিবি প্রধান এহসান মানি ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট প্রধান শাম্মি সিলভা। পাকিস্তানে খেলতে আসার জন্য লঙ্কান ক্রিকেট প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মানি।
একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজের জন্য আক্ষেপ থাকলেও দুধের স্বাদ ঘোল দিয়ে মেটানোর মতো করে আপাতত এতেই রাজী হতে হচ্ছে পিসিবি। তাতে ভেস্তে যাচ্ছে ২০০৯ সালের পর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলার স্বপ্ন।
রাজী না হয়েও আসলে উপায় নেই পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কা তাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তাইতো ২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল দলটি। ২০১৭ সালে পাকিস্তানে গিয়ে খেলে এসেছে টি-টুয়েন্টি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যেখানে বাকি দেশগুলো পাকিস্তানকে এড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে লঙ্কানরা ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলতে রাজী হয়েছে, তাতে অল্প করে হলেও মুখে হাসি ফুটবে পিসিবির।