সিলেট থেকে: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্ব ও ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপের কয়েকটি ম্যাচে দেখা যাবে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।
১১ নভেম্বর পাকিস্তানে শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি কাপ। চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। পিসিবি থেকে খেলোয়াড়দের শর্ত দেয়া হয়েছে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি কাপে অংশগ্রহণ করার পর বিপিএলে খেলতে পারবেন ক্রিকেটাররা।
৪ নভেম্বর সিলেটে শুরু হচ্ছে বিপিএল। এই শহরে চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকায় দ্বিতীয় পর্ব ১০ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ২১ তারিখ পর্যন্ত। ঢাকা পর্বের শেষ দিকে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন দলগুলোতে।
বিপিএলের পঞ্চম আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। দলটির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত খেলতে পারবে না সেটি আমরা আগেই জানতাম। তাই তাদের বাদ দিয়েই আমরা অন্যান্য দেশের বিদেশী ক্রিকেটারদের রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছি। এটি সত্যি যে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা শুরু থেকে না থাকলে প্রায় সবগুলো দলের উপরই একটা প্রভাব পড়বে। তবে কিছু কিছু দলের জন্য হয়তো সমস্যা হবে না।’
ঢাকা ডায়নামাইটসের বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের খুব একটা চিন্তা নেই। যে সব দলে পাকিস্তানি ক্রিকেটার বেশি তারা হয়তো একটু সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া এবার তো বিপিএলে পাঁচজন বিদেশী ক্রিকেটার খেলানোর সুযোগ আছে। যে কারণে সব দলই পাকিস্তানি ছাড়াও অন্য দেশের ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছেন।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটার শুরু থেকে না থাকলেও জৌলুস হারাচ্ছে না বিপিএল। এরই মধ্যে সিলেটে চলে এসেছেন বিশ্বের নামী-দামি অনেক ক্রিকেটার। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে দেখা গেছে লুক রাইট, কুমার সাঙ্গাকারা, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, পোলার্ড, এভিন লুইস, ব্রাথওয়েট, জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন, সামিত প্যাটেল, রবি বোপারা, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানদের।
ছবি: সাজ্জাদ খান।