চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাকিস্তানকে হারিয়ে যুব সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আঞ্চলিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েরা একপ্রকার অপ্রতিরোধ্য! মেয়েদের দেখানো সাফল্যের পথে এবার হাঁটা শুরু লাল-সবুজ অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোরদেরও। শনিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা।

নেপালের এএনএফএ কমপ্লেক্সে পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশের কিশোররা। নির্ধারিত সময়ে দুই দলের খেলা অমীমাংসিত ছিল ১-১ গোলে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আসরের ফাইনাল বলেই রক্ষণে বেশ সতর্কই ছিল পাকিস্তান। রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েই দলটির একটি ভুল ২৫ মিনিটে এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। লাল-সবুজ ডিফেন্ডার হেলাল উদ্দিনের কর্নার শট হেডে ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন পাকিস্তানি ডিফেন্ডার হাসিভ আহমেদ খান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল শোধ দেয় পাকিস্তান। ৫২ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফেলে দেন হেলাল উদ্দিন। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দুই মিনিট পর স্পটকিকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে ঠাণ্ডা মাথায় পরাস্ত করেন মোহব উল্লাহ।

নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মূল গোলরক্ষক মিতুলকে উঠিয়ে সেমিফাইনালের নায়ক টাইব্রেকার স্পেশালিষ্ট মেহেদী হাসানকে নামান বাংলাদেশ কোচ। মেহেদী নেমেই করেন বাজিমাত!

ভারতের বিপক্ষে দুটি স্পটকিক ঠেকিয়ে সেমিতে নায়ক ছিলেন মেহেদী। নায়ক হলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও। এদিন তিনটি শট ঠেকিয়েছেন এ গোলরক্ষক।

পেনাল্টি শ্যুটে প্রথমে শট নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমেই মিডফিল্ডার রাজন হাওলাদারের শট বার উঁচিয়ে বাইরে চলে গেলে শুরু হয় হতাশায়। কিন্তু মেহেদী এসেই কাটান হতাশার মেঘ।

পাকিস্তানিদের তিন শট একাই ঠেকিয়ে দেন লাল-সবুজদের বদলি গোলরক্ষক। সতীর্থদের দুটি শট হাতছাড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রতি শটেই লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছেন মেহেদী। মাঝখানে রবিউল আলমের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও গোলরক্ষকের কল্যাণে শিরোপার পথে বাঁধা হতে পারেনি লাল-সবুজদের সামনে।

শিরোপার পাশাপাশি ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডও গেছে বাংলাদেশের ঘরে। সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়েছেন বাংলাদেশের নিহাত জামান উচ্ছ্বাস। মালদ্বীপ ম্যাচে একাই ৪ গোল করেন লাল-সবুজ ফরোয়ার্ড।

গ্রুপপর্বে মালদ্বীপকে ৯-০ ও স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষচারে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় লাল-সবুজরা। থামল শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই।