বাছাই পর্বে চমক জাগানো সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ১৩০ রানের টার্গেট দিয়েছে। জবাবে এখন আমিরাতের বোলিং সামলাচ্ছে পাকিস্তান।
শোয়েব মালিক এবং উমর আকমলের ১১৪ রানের জুটিতে ৮ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান।
এর ৬ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট পড়লে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজ এবং খুররম মঞ্জুরকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন আমজাদ জাভেদ। তাদের বিদায়ে এখন ক্রিজে আছেন উমর আকমল এবং শোয়েব মালিক।
১১ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। আমজাদ জাভেদের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন সারজিল খান।
১২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো আমিরাকে লড়াইয়ের পুঁজি পাইয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন ৪৬ রান করা সাইমন আনোয়ার।
শেষ দিকে মুহম্মদ উসমান এবং আমজাদ জাভেদের ঝড়ো ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় আমিরাত।জাভেদ ২৭ রানে অপারাজিত থাকেন।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ১ রান যোগ না হতেই উইকেট হারিয়ে বসে আমিরাত। রোহান মুস্তাফাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান মোহাম্মদ সামি। সামির বলে তিনি আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
১ রান বাদেই মুহাম্মদ কালিমকে ক্লিন বোল্ড করে পাকদের দ্বিতীয় সাফল্য এনেদেন মোহাম্মদ আমির। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
এরপরই ফেরেন মোহাম্মদ শাহজাদ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শাহাজাদ।
সাইমনের সঙ্গে ২৯ রানের পার্টনাশিপ গড়ে আমিরাতের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন উসমান মুস্তফা। ৯ রান করে আফ্রিদির শিকার হন তিনি। স্কোর বোর্ডে রান তখন ৪১।
উসমান মুস্তফাকে ফিরিয়ে আমিরাতের ব্যাটিং লাইনআপ চেপে ধরেছেন শহীদ আফ্রিদি। স্কোর বোর্ডে রান তখন ১১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান।
শেষ দিকে মুহম্মদ উসমান এবং আমজাদ জাভেদের ঝড়ো ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় আমিরাত।
আজকের ম্যাচে ওহাব রিয়াজকে বিশ্রামে রেখে তার জায়গায় মোহাম্মদ নাওয়াজকে মাঠে নামিয়েছে পাকিস্তান। এ ম্যাচে পিএসএল’র তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর অভিষেক হচ্ছে।