ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা দখলেই ছিল জস বাটলারের। শুক্রবার দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৪৬ বলে করলেন সেঞ্চুরি। তার ব্যাটিং ঝড়েই সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৩৫৫ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। যার নিচে চাপা পড়ে ৮৪ রানে ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। ৪ ম্যাচের সিরিজ হার ৩-১ ব্যবধানে।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৫ রান তোলে ইংলিশরা। জবাবে পাকিস্তান ৪০.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৭১ রান তুলতেই সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে।
ইংল্যান্ডের ৩৫৫ রানের পাহাড় দেখেই বোঝা গিয়েছিল সিরিজ বাঁচাতে কাউকে বড়সড় কিছু করতে হবে। সেটাই কেউ করতে পারেনি পাকিস্তানের। ফলে বড় ব্যবধানে হারতে হলো আজহার আলীর দলকে। অবশ্য ৬.৩ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান তুলে ভালো শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দু’ওপেনার আজহার-আহমেদ শেহজাদ। আজহার ৩২ বলে ৪৪ এবং শেহজাদ ১৭ বল খেলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান।
তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজ এবং বাবর আজম ৬৫ রান তুলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু হাফিজকে (৩৭) রান আউটের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন ডেভিড উইলি। ফিফটি করে ফিরে যান। তিনি ৫১ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় খেলেন ৫১ রানের ইনিংস।
এই দু’জনের বিদায়ের পর যা একটু লড়েছিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। তিনি ৩৪ বলে তিন চার, দুই ছক্কায় করেন ৫২ রান। শেষেরদিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ ২৬ বলে ২৪ এবং আনোয়ার আলী ২৪ বলে ২৪ রান করে পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন মাত্র।
মঈন আলী ৫৩ ও আদিল রশিদ ৭৮ রানে ৩টি করে এবং ডেভিড উইলি ৩৪ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। এরআগে টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক মরগ্যানের ব্যাট করার সিদ্ধান্তকে ফলপ্রসূ করেন দু’ওপেনার জেসন রয় এবং অ্যালেক্স হেলস।
৫৪ রানে হেলস (২২) বিদায় নিলেও ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি রয়। ১১৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা এই ওপেনার আউট হয়ে গেছেন ১১৭ বলে ১০২ রান করে। রয়ের ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং একটি ছক্কা। তার আগে জো রুটের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়ে দিয়ে যান। রুট খেলেন তিন চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৭১ রানের ইনিংস।
তবে শেষদিকে জশ বাটলার ঝড়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৫৫ রান। ৪৬ বলে সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ১১৬*। চার ১০টি, ছক্কা আটটি। শেষ ৫৮ বলে ১২৮ রানের পুরো কৃতিত্বই বাটলারের।
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার আজহার ২৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ ইরফান ২ উইকেট পেয়েছেন ৬৪ রানে। ম্যাচসেরা এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটোই জিতে নিয়েছেন জস বাটলার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পাকিস্তান জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। ওয়ানডে সিরিজ তারা হেরে গেল ৩-১ ব্যবধানে। টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন মিসবাহ-উল-হক এবং ওয়ানডে সিরিজে আজহার আলী। এবার শহীদ আফ্রিদির পালা।
তিনি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে ঝাঁপাবেন ২৩ নভেম্বর থেকে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।