ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা। অথচ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। অবশেষে সব শঙ্কা উড়ে গেল। পাঁচটা রান বাঁচিয়ে দিল ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কোয়ালিফাইংয়ের সুপার সিক্স ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে গেইল-স্যামুয়েলসরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই বিশ্বকাপ স্বপ্নে ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ক্রিস গেইল। দলীয় ২ রানের সময় সাই হোপ আউট হলে বিশাল ঝাঁকুনি খায় ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচের শুরুতে ধূসর হয়ে উঠা স্বপ্নে আশা জাগায় তৃতীয় উইকেটের জুটি। এভিন লুইস আর মারলন স্যামুয়েলস তোলেন ১২১ রান। দুজনেই আউট হন হাফসেঞ্চুরি তুলে। লুইস দলীয় সর্বোচ্চ ৬৬ ও স্যামুয়েলস করেন ৫১ রান।
লুইস-স্যামুয়েলস ফিরে যাওয়ার পর আবারও পথ হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একে একে ফিরে যান সিমরন হেটমেয়ার (৪), জেসন হোল্ডার (১২), রোভম্যান পাওয়েল (১৫)। শেষ দিকে কার্লোস বার্থওয়েটের ২৪ রানে দুইশ’র কাছাকাছি যায় ক্যারিবীয়রা। ৮ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৯৮ রানে।
স্কটল্যান্ডের হয়ে সাফিয়ান শরিফ ও ব্রাড হোয়েল নেন তিনটি করে উইকেট। দুটি উইকেটে নেন মাইকেল লেস্ক।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি স্কটল্যান্ডের। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ২৫ রানেই হারায় ৩ উইকেট। স্কোর বোর্ড হাফসেঞ্চুরি ঘর ছোঁয়ার আগে আরো এক উইকেটের পতন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৫.২ ওভারে স্কটল্যান্ডের রান যখন ৫ উইকেটে ১২৫। তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে খেলা আর শুরুই হতে পারেননি। বৃষ্টি শুরুর সময় ডিআরএস নিয়মে পাঁচ রানে এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে সেই পাঁচ রানই বাঁচিয়ে ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
স্কটল্যান্ডের হয়ে রিচি বেরিংটন ৩৩ ও জর্জ মানজি ৩২ রান করেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান ক্যালাম ম্যাক্লাউডের।
স্কটিশদের খোঁয়ানো পাঁচ উইকেটে দুটি করে নেন কেমার রোচ ও অ্যাসলে নার্স। অন্য উইকেটটি অধিনায়ক হোল্ডারের খাতায়।