ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠানের ওপর পাঁচমাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তায় ধাক্কা খেলেও আসন্ন আইপিএল অনায়াসেই খেলতে পারবেন তিনি। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনাটি গত বছরের। তাই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারিতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
গত বছরের ১৬ মার্চ একটি ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলাকালে বোর্ডের ডোপিং পরীক্ষার জন্য ইউসুফ মূত্র নমুনা পাঠিয়েছিলেন। সেই নমুনায় ওয়াডার নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় থাকা টারবুটালাইন পাওয়া যায়।
বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডোপিং লঙ্ঘনের জন্য ইউসুফ পাঠানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইউসুফ ভুলবশত একটি নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেছিলেন, যা সাধারণত কফ সিরাপে থাকে।
পাঠান বোর্ডের ডোপিং বিরোধী আইনের ২.১ ধারায় অভিযুক্ত হন এবং লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বোর্ডকে ইউসুফ জানান, ভুলবশত তাকে টারবুটালাইন সমন্বিত ওষুধ দেয়া হয়েছিল। তবে ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, ইউসুফ যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক। তিনি যে বস্তু গ্রহণ করেছিলেন সেটা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য। তিনি পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য ওই নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেননি।
সবদিক বিবেচনা করে বোর্ড তার উপর পাঁচ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ইউসুফকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। শেষপর্যন্ত ইউসুফের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা গত বছরের ১৫ আগস্ট থেকে আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে তার আইপিএলে খেলার ক্ষেত্রেও কোন বাধা থাকবে না। আইপিএলের নিলাম হবে ২৭-২৮ জানুয়ারি।
সাজা ঘোষণার পর ইউসুফ বলেছেন, ভারত ও রাজ্য দল বরোদার হয়ে খেলাটা তার কাছে গর্বের বিষয়। তাই এমনকিছু তিনি করবেন না, যাতে মাতৃভূমি ও বরোদার বদনাম হয়। ভারতের হয়ে ৫৭টি ওয়ানডে ও ২২টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ইউসুফ।