ফরাসি লিগ কাপে গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে পিএসজি। বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে গুইনগাম্পের কাছে ২-১ গোলে হারে নেইমার-এমবাপেরা। এই জয়ে পিএসজির বিদায়ের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠে গেছে গুইনগাম্প।
প্রথমার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুই দলই একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কেউই জাল খুঁজে পায়নি। বিরতির পর ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোলের দেখা পায় পিএসজি। মুনিয়েরের কর্নার থেকে হেডে বল ঠিকানায় পাঠান নেইমার।
কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮১ মিনিটে গুইনগাম্পকে সমতায় ফেরান ইয়েনি। পিএসজির ডি-বক্সে ফরাসি মিডফিল্ডার মাঁকিস কোকো ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি পায় দলটি। তা থেকে গোল করতে ভুল করেনি অতিথিরা।
ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে দিকে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পিএসজির জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মাঁকিস চুরাম। এবারও দলটি গোল করে পেনাল্টি থেকে। ফাউলের শিকার অবশ্য হয়েছিলেন মাঁকিস চুরামই। নিজেই শট নেন। সফলও হন।
কাতারি বিনিয়োগের পর থেকেই ফ্রান্সে ছড়ি ঘোরাচ্ছে পিএসজি। সবশেষ ছয়টি লিগ শিরোপার পাঁচটিই জিতেছে দলটি। আর লিগ কাপের সবশেষ পাঁচ মৌসুমে পাঁচবারই শিরোপা জিতেছে তারা।
লিগ কাপে অবিশ্বাস্য রকমের সাফল্য পাচ্ছিল পিএসজি। এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ৪৯ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। তাদের সেই যাত্রা অবশেষে থামিয়ে দিল গুইনগাম্প।
দল হতাশ হলেও চলতি মৌসুমের ছন্দটা ধরে রেখেছেন নেইমার। এই ম্যাচে গোল করে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর ৭০তম গোলের সঙ্গে নাম জড়ালেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। ২০১৭’র আগস্টে দলে যোগ দেয়ার পর নিজে ৪৬ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ২৪টি গোলে। পিএসজির হয়ে এই ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে তাকে খেলতে হয়েছে মাত্র ৫১ ম্যাচ।
লিগ কাপ থেকে বিদায় হলেও লিগ ওয়ানে এখনো তারা আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয়স্থানে থাকা লিলের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে তারা। গুইনগাম্পের বিরুদ্ধে শোধ নেয়ার জন্য অবশ্য বেশিদিন দেরি করতে হবে না পিএসজিকে। ১৯ জানুয়ারি লিগ ওয়ানের ম্যাচে তাদের সামনে পাচ্ছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা।