শূন্য রানে জীবন পেয়ে দ্রুততম শতকের মালিক। ডেভিড মিলারকে কেন ‘কিলার’ মিলার বলা হয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচটিই তার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ। কিন্তু এই মিলার ব্যক্তি হিসেবে অতটা নির্দয় নন। সাইফউদ্দিনকে টানা পাঁচ ছয় হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে বলে গেছেন, ‘টেক ইট ইজি।’
সাইফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত। মিলার প্রতিষ্ঠিত। ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন ‘ধাক্কা’ তরুণের মনোজগতকে নাড়িয়ে দিতেই পারে। পেশাদার মিলার হয়তো সেই কথা চিন্তা করেই বলেছেন, ‘সহজভাবে নাও।’
মিলার আর হাশিম আমলার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ২২৪ রান সংগ্রহ করেছে সাউথ আফ্রিকা।
মিলার ২৩ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর ৩৫ বলে শতকে পা রাখেন। আগের দ্রুততম শতক ছিল সাউথ আফ্রিকারই রিচার্ড লেভির। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে, ৪৫ বলে।
আমলা এদিন ৮৫ করেন, ৫১টি বল খেলে। তার ভেতর চার মারেন ১১টি বলে। ছয় একটিতে। তার মানে বাকি ৩৪টি বলে হয় সিঙ্গেল না হয় ডাবল। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যা পারেনই না!
আমলা ফিরে যাওয়ার পর হামলা শুরু করেন মিলার। ৩৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকার দিনে চূড়ান্ত হামলা চালান সাইফউদ্দিনের চতুর্থ এবং ইনিংসের ১৯তম ওভারে। আগের তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই ‘দানব’কে (ভিলিয়ার্স, আমলা) ফেরানো সাইফ প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করে বসেন! লজ্জার রেকর্ডের মুখোমুখি হতে হতে বেঁচে যান। শেষ বলটি অফস্টাম্পের বেশ বাইরে করেন। মিলার এবার এক রান নিতে পারেন।
অথচ শুরুতে রুবেল হোসেনের বলে জীবন পান মিলার। ১১তম ওভারে শর্টবলে পুল করতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। মুশফিক ডাইভ দিয়েও গ্লাভস ছোঁয়ালেও বলের দখল নিতে ব্যর্থ হন।