রুশ সৈন্যরা বুচায় বেসামরিকদের হত্যা করেছে বলে ‘অতিরঞ্জিত উত্তেজনা’ তৈরি করে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনাকে অন্যদিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে।
কিন্তু মস্কো বরাবরের মতোই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তা ‘ভয়ঙ্কর জালিয়াতি’ বলে উল্লেখ করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) ইতমধ্যেই রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে কিনা তার প্রমাণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনও যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ জড়ো করতে নিজস্ব দল গঠন করে কাজ করছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রাশিয়াকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
অনলাইনে নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের জন্য রুশ নেতাদের বিচার করতে হবে। বুচা শহরের মতো ইউক্রেনের বহু জায়গায় রাশিয়া নৃশংসতা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে নিরাপত্তা পরিষদেরই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া উচিত।
এছাড়া বুচা শহরে গণহত্যার অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুচায় সাধারণ মানুষকে হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য ভুলে যাবার নয় বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তবে শহরটির রাস্তায় মরদেহ পড়ে থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
শহরের একটি গির্জার কাছে কমপক্ষে ৩শ’ ২০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বুচার মেয়র। ইউক্রেনকে আরও দশ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।