লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরদিনই ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর আসনের কানকিনারা, কুচবিহারের পুরুলিয়া, তিতাগড়, নিউ টাউন, নারায়ণগড় এবং তুফানগঞ্জে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এমনকি দুই দলের সংঘর্ষের সময় পুরুলিয়ায় বিজেপির এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে এবার তৃণমূলের ঘাটিতে আঘাত হেনেছে বিজেপি। ৪২টি আসনের মধ্যে গত নির্বাচনে যেখানে দুটি আসন পেয়েছিল তারা, এবার তারা দখল করেছে ১৮টি আসন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণার সময় থেকেই কানকিনারায় উত্তেজনার শুরু হয়। বিজেপির সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের সমর্থকরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। আর তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি সমর্থকরা অনেক বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ব্যারাকপুর থেকে শতাধিক লোক গ্রেপ্তার হন, যাদের বেশিরভাগই বিজেপির সমর্থক।
পরে শুক্রবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া বিজয়ী প্রার্থী অর্জুন সিংহ হামলার শিকার হওয়াদের দেখতে যান এবং সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের দিন থেকে অর্জুন পুলিশের এবং তৃণমুলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, অর্জুন সিংহ’র ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যদি আরও হামলার ঘটনা ঘটে তবে আমরাও চুপ থাকবো না, তাদের ভাষাতেই জবাব দেয়া হবে।
এ অবস্থায় উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যেকোন ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থতির সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য এসব এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলেন, গত রাত থেকেই বিজেপির সমর্থকরা এসব এলাকায় বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা এলাকার শান্তি নষ্ট করছে। এ কারণেই লোকজন হয়তো তাদের নির্বাচিত করেছে।