কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটক শূন্য। তবে ঈদুল আজহার ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আসবে এমনটাই আশা নিয়ে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ উপলক্ষ্যে দিচ্ছে বিশেষ সুবিধা ও প্যাকেজ। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজারের সব পর্যটন স্পটগুলো। আর পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে সূর্যাস্ত, সমুদ্র স্নান পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ। এই সৈকতে ঈদের ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। তাই পর্যটকদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিতে পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো সাজছে নতুন সাজে। সেই সাথে সাজছে পর্যটন স্পটগুলোও।
পর্যটন শহর কক্সবাজারে অর্ধ-শতাধিক তারকামানের হোটেল, ছোট-বড় দেড় শতাধিক হোটেল মোটেল ও দুই শতাধিক গেস্ট হাউজ, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। আর বার্মিজ মার্কেট রয়েছে ১২টি। এসব প্রস্তুত রয়েছে আগতদের সেবা দিতে।
পর্যটকদের নানান সুযোগ-সুবিধা দিতে যাবতীয় প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পর্যটকদের কাছে ঈদের ছুটিকে আরো আনন্দময় করে তুলতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানালেন হোটেল মালিক সমিতির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের সব হোটেল পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। অনেক হোটেল বিশেষ ছাড়সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে ও জানান তিনি।
তরুণ পর্যটন ব্যবসায়ী এম সায়েম ডালিম জানান, পর্যটকদের জন্য হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়া নগর ও সেন্টমার্টিনসহ সব পর্যটন স্পটগুলো প্রস্তুত রয়েছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান ঈদের আগে ও পরে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।