কক্সবাজার থেকে: মাঠ ভেজা থাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচ ঘিরেও ছিল শঙ্কা। অনিশ্চয়তা নিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষার পর সালমা-রুমানাদের কাছে বিকাল ৩টায় খবর এল, ১৪ ওভারের ম্যাচ হবে। আনন্দের বন্যা বয়ে গেল টাইগ্রেস ড্রেসিংরুমে! বহু কাঙ্ক্ষিত ম্যাচটিই যে দুঃস্বপ্ন হয়ে হাজির হবে তখন কে জানত! সাগরপাড়ে ৩০ রানে গুটিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ লজ্জায় ডুবলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ঠিকই আছে স্বাগতিক দলে।
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। সিরিজ শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক সালমা খাতুন। কিন্তু বুধবার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৫৮ রানে হারের পর বেঁচে আছে কেবল ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয়ের আশাই।
চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে বড় পরাজয়। সিরিজ জিততে শেষ দুটি ম্যাচেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ে চরম ব্যর্থতায় কঠিন সমীকরণের সামনে মেয়েরা। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ। সালমা বিশ্বাস রাখছেন পরের ম্যাচে ওপেনিং জুটি ক্লিক করলেই ঘুরে দাঁড়াবে লাল-সবুজরা।
‘আমরা হাল ছাড়িনি। পরের দুটি ম্যাচে ভাল খেলে যেন জিততে পারি সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আমরা আজ খুবই বাজে ব্যাটিং করেছি। উইকেটে কোনো সমস্যা ছিল না। উইকেট ভালো ছিল। ওরা খেলতে পারলে আমরা কেনো পারব না। আমার মনে হয়েছে উইকেটগুলো আমরা উপহার দিয়ে এসেছি।’
পাকিস্তান স্পিনার আনাম আমিন ৩ ওভারে কোনো রান না দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ বাঁহাতি গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। তবে পুরো ব্যাটিং লাইনআপ বালুর বাধের মতো ভেঙে পড়ার পেছনে শুরুর হোঁচটকেই দায়ী করলেন সালমা।
‘আনাম যে আহামরি অনেক ভালো বল করছে এমন না। তবুও এখন বলতে হবে ভালো করেছে। তিন ওভার মেডেন, ৩ উইকেট নিয়েছে। এখানেই আমরা পিছিয়ে গেছি। টি-টুয়েন্টিতে ১৮টি ডট দিয়ে ৩ উইকেট। একটা সময় দশের উপরে আস্কিং রেট চলে গিয়েছিল। পরে চাপটা কেউ নিতে পারেনি। শুরুতে ৪ রানে দুই উইকেট হারিয়েছি। পরের ম্যাচে এই ভুলটা যেন না করি। শুরু ভালো হলে এখনও সম্ভব সিরিজ জেতা।’