চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পরীমনির ৫টি সহ এফডিসিতে ৭ গরু কোরবানি

কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্রের অনেক এক্সট্রা শিল্পী, টেকনিশিয়ানদের হাতে কাজ নেই। এরমধ্যেই চলতি বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এ বছর তুলনামূলক অস্বচ্ছল শিল্পীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কোরবানির আনন্দ ভাগাভাগি করতে বরাবরের মতো এগিয়ে এলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কয়েকজন।

তারা হলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, তারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমী, নিপুণ এবং পরীমনি। এরমধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমনি একাই দিয়েছেন পাঁচটি গরু কোরবানি।

এফডিসির ৯ নম্বর ফ্লোরের সামনে পরীমনি গরু কোরবানি দিয়েছেন। ওমর সানী-মৌসুমী এবং নিপুণ মিলে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে সামনে গরু কোরবানি দেন।

সকালে এফডিসি ঘুরে কোরবানির তদারকি করে গেছেন ওমর সানী। তখন তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রকর্মীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা কোরবানি দিতে পারবেন না। করোনার প্রকোপে ঈদের দিন মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্যও হারিয়েছেন অনেকে। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা এফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে এক হয়ে সহযোগিতা করেছেন ফরিদুর রেজা সাগর।

মৌসুমী বলেন, ‘আমি যে পরিবারের সদস্য, সে পরিবারের অস্বচ্ছলদের জন্যই এ কোরবানি। আর যেহেতু তাঁরা আমার পরিবারের সদস্য, তাই পরিবারের সদস্য হিসেবে মাংসটুকু নিয়ে যাবেন। এই সদস্যদের মধ্যে একটি পরিবারও যদি নিজের সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন, তবেই আমার কোরবানি সার্থক হবে।’

করোনার শুরু থেকে নানাভাবে চলচ্চিত্রের অসচ্ছল মানুষদের সাহায্য করেছেন নিপুণ। এবারই প্রথম তিনি কোরবানি দিচ্ছেন এফডিসিতে। বিকেলে মাংস বিতরণের সময় বললেন, শিল্পীরা অস্বচ্ছল হলেও নিজের সম্মান বাঁচাতে কারো কাছে হাত পাততে পারেন না। অনেকে নিভৃতে ফেলেন চোখের জল। শিল্পীর আত্মসম্মান আর অভিনয়প্রেমই সম্বল। বাইরে হাত পাততে লজ্জা পেলেও তারা কিন্তু এফডিসি থেকে কিছু গ্রহণ করতে লজ্জা পান না। কারণ এটি তাদের আরেক পরিবার। আমরা পরিবারের সচ্ছল সন্তান। যে কারণে অনেকটা অধিকার নিয়েই তারা মাংস সংগ্রহ করেন। তাদের কথা চিন্তা করেই এ বছর বিএফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত এফিডিসিতে গরু কোরবানি করেন পরীমনি। গেল বছরেও চারটি গরু কোরবানি করেন তিনি। এবার সার্বিক দিক বিবেচনা করে ৫টি গরু কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিকেলে নিজে উপস্থিত হয়ে সিনেমার শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের হাতে মাংস তুলে দেন তিনি।