অন্যায়ভাবে পরীক্ষার হলে ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে ছয় শিক্ষার্থীকে নকল দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন সিঙ্গাপুরের এক প্রশিক্ষক।
২০১৬ সালে এক পরীক্ষার নিয়ম ভেঙ্গে তান জিয়া ইয়ান নামের প্রাইভেট শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষার হলে বসে এই প্রশিক্ষক। এবং প্রশ্ন পাওয়ার পর অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নকল দিয়ে পরীক্ষায় প্রতারণা করেন।
ওই শিক্ষার্থীরা লুকিয়ে মোবাইল ফোন, ব্লু টুউথ ডিভাইস, স্ক্রিন রঙের হেডফোন পরীক্ষার হলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার সিঙ্গাপুরের আদালত জিয়া ইয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করে। ও-লেভেল পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের বয়স ১৬ মধ্যে।
সিঙ্গাপুরে ‘জিউস শিক্ষা কেন্দ্রে’ প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল তান জিয়া ইয়ান। এ ঘটনায় তার সাথে ওই কোচিং সেন্টারের আরও তিনজন জড়িত ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এই মামলার প্রসিকিউটর বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সন্দেহভাজন এক ছাত্র থেকে অস্বাভাবিক শব্দ আসতে থাকে। পরীক্ষার পরিদর্শক জিজ্ঞেস করার আগেই ছাত্রটি তার কোটের পকেটে ইলেকট্রনিক ডিভাসগুলো সরিয়ে ফেলে।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর ভাদিভালাগান শানমুগা বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষায় এ প্রতারণা চালানো হয়েছে।