চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পরিসংখ্যান বলছে আর্জেন্টিনার বিদায়ে মেসি দায়ী নয়

দলে নেই তাদের সেরা খেলোয়াড়, তা সত্ত্বেও ফাইনালে উঠে গেছে ব্রাজিল। অন্যদিকে, দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে নিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে আর্জেন্টিনা। জেসুস ও ফিরমিনোর গোলে মেসির আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বপ্নকে চুরমার করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে সেলেসাওরা।

কিন্তু আর্জেন্টিনার বিদায়ে কী মেসি একাই দায়ী? না। পরিসংখ্যান অন্তত সেটাই বলছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শেষ চার পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড় মেসিই।

ব্রাজিলের বিপক্ষে সামনে সার্জিও আগুয়েরো ও মার্টিনেজের একটু পেছনে খেলেন মেসি। গোটা ম্যাচে বল পজিশনের ফারাক ছিল উনিশ-বিশের। কিন্তু আক্রমণের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল নীল-সাদা বাহিনী। বেশ কয়েকবার গোলের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন মেসিরা। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না।

একবার তো মেসির ফ্রি-কিকে আগুয়েরো হেড দিলেও তা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। মেসির আরেকটি ফ্রি-কিক আসাধারণ দক্ষতায় আটকে দেন ব্রাজিল গোলকিপার অ্যালিসন বেকার। এছাড়া অবশ্য বেকারকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি মেসি।

ক্লাব পারফরম্যান্স যে জাতীয় দলে কপি করতে পারছেন না সেটা আগেই মেনে নিয়েছেন মেসি। ফুটবল নিয়ে বিশ্লেষণ করা ব্রিটিশ ওয়েবসাইট স্কোয়াকার দেয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের আসর মেসির সেরা কোপা আমেরিকা আসর ছিল না।

টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র একটি গোল করেছেন। সেটাও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে। সিনিয়র দলের হয়ে এটি ছিল মেসির নবম টুর্নামেন্ট, যেখান থেকে তিনি খালি হাতে ফিরলেন।

শুধু গোল বা অ্যাসিস্টের বাইরে বিচার করলে এই টুর্নামেন্ট মেসির জন্য ভিন্ন কথাই বলছে। আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন। বেশি পাস বাড়িয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ফ্রি-কিক আদায় করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছেন।

চার ম্যাচে মেসি মোট ২০টি ক্লিয়ার পাস দিয়েছেন। গোলে শট নিয়েছেন ১৬টি। ফ্রি-কিক আদায় করেন ১৫টি এবং সর্বোচ্চ নয়টি গোলের সুযোগ তৈরি করেন।

এগুলো সত্ত্বেও আর্জেন্টিনা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পারেনি। সার্জিও আগুয়েরো, লৌতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং পাওলো দিবালার মতো তারকারা থাকা সত্ত্বেও আর্জেন্টিনা একক দল হিসাবে খেলতে অক্ষম। ফলে কোপা আমেরিকায় ব্যর্থতার জন্য সম্ভবত মেসিকে দায়ী করা খুব সুবিধাজনক নয়।