বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে প্রোটিয়ারা।
রোববার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রানে আটকে যায় সাউথ আফ্রিকার ইনিংস।
ম্যাচে বেশকয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। সাকিব আল হাসান গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। পরিসংখ্যানের আলোকে সেই রেকর্ড-বিশ্বরেকর্ডগুলো দেখে নেয়া যাক।
>সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামার সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের রান ছিল ১০৯৯৫। ক্রিজে নামার কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান পূর্ণ করেন টাইগার অলরাউন্ডার।
>আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ডাবলস থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে ছিলেন সাকিব। ইনিংসের ২০তম এবং নিজের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সাউথ আফ্রিকার ওপেনার এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে ইতিহাসের মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবলসের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখান সাকিব।
>দ্রুততম সময়ে ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেটের ডাবলসের রেকর্ড গড়লেন সাকিব। ১৯৯তম ম্যাচে এই অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করলেন। তালিকায় থাকা অপর চারজন- আবদুল রাজ্জাক (২৫৮ ম্যাচ), শহীদ আফ্রিদি (২৭৩), জ্যাক ক্যালিস (২৯৬) ও সনাথ জয়সুরিয়া (৩০৪) বেশ পিছিয়ে রয়েছেন।
>গত বছর ইয়ান বোথামকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম ম্যাচে টেস্টে ৩০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলসের রেকর্ড গড়েছেন সাকিব।
>২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। ২০১৯ আসরেও নিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন টাইগার তারকা। টানা চার বিশ্বকাপ আসরে প্রথম ম্যাচে ফিফটি করে অনন্য নজির গড়লেন সাকিব।
>বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন সাকিব ও মুশফিক। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১৪২ রান তোলেন। পেছনে পড়ে যায় ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ১৪১ রানের জুটিটি।
>সেঞ্চুরি জুটি গড়ার পথে রেকর্ড গড়েছেন সাকিব ও মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে এটি দুজনের পঞ্চম সেঞ্চুরি জুটি। বাংলাদেশের হয়ে আর কারো এরচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি জুটি নেই। অবশ্য তামিম-মুশফিক এবং তামিম-সৌম্য সরকারেরও সমান পাঁচটি করে সেঞ্চুরি জুটি রয়েছে।
>২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। টানা তিন বিশ্বকাপে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে অংশ নেয়ার কীর্তি গড়লেন সাকিব।
>ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ৩২৯। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ার পথে সেটিকেও ছাপিয়ে যায় মাশরাফীর দল। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৯ রান করেছিল বাংলাদেশ।
>অন্যদিকে বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ৩০০ প্লাস স্কোর। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করে জিতেছিল টাইগাররা।
>সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৭৮ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে এবার সেটিকে ছাপিয়ে ৫২ রান বেশি করল টিম বাংলাদেশ।
>বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩২৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের দখলে। সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করে জিতেছিল। নিজেদের সেই রেকর্ড এবারও ছাপিয়ে যেতে পারল না প্রোটিয়ারা।