দেশে পরিবেশ আইন থাকলেও সেই আইন দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসকারীদের ঠেকানো যাচ্ছে না। দুর্বোধ্য আর জটিল আইন, সাধারণের মামলা করার সুযোগ না থাকা এবং মামলার ফল পেতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে পরিবেশ আদালতে মামলায় আগ্রহ কমছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, পরিবেশ আইনকে তাই যুগোপযোগী করতে পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করে পরিবেশ আইনজীবীদের সংগঠন বেলা। সেমিনারে আলোচকরা বলেন, ২১ জেলায় পরিবেশ আদালতের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি কার্যকর।
বেলা’র নির্বাহী প্রধান রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই আদালতগুলোর দুটো বিষয় দেখার কথা। একটি হচ্ছে, সংরক্ষণ আইনে যতো অপরাধ আছে সেগুলোর বিচার করা। আরেকটি হচ্ছে সংরক্ষণ আইন বাদে অন্য যেসব পরিবেশ আইন আছে সেগুলোর নিরিখে বিচার করবে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাদে বাকী পরিবেশ সংক্রান্ত অন্যান্য আইনের বিচার এই আদালতের এখতিয়ারে রাখা হয়নি। তাই পরিবেশ সংক্রান্ত বিপুল পরিমাণ অপরাধ-অভিযোগ এই বিচারের বাইরে রয়ে গেছে’।
বাংলাদেশে ১৬ বছর আগে প্রথম পরিবেশ আইন হয়, পরবর্তীতে সংশোধন করা হয় ২০১০ সালে। দখল, দূষণ, পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসকারীদের নিত্য নতুন কৌশল ঠেকাতে পরিবেশ আাইনের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে এই ব্যাপারে বৈঠকে বসবো। তার সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকে বসবো। সেখানেই শেষ নয়, এই আইনটি পরিবর্তনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন অথবা নতুন একটি আইন প্রনয়ণের মাধ্যমে আরও কার্যকর করার ব্যবস্থা নেবো’।
সেমিনারের আলোচকরা পরিবেশ আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো ও পরিবেশের ক্ষতি ঠেকাতে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট চালুর ওপর জোর দেন।