দশ শয্যার হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা দিয়ে ৫০ শয্যার গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চলছে। পরিত্যক্ত ভবনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জায়গা সংকট আর অনিয়মের মধ্যেই চিকিৎসা নিচ্ছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর কারণে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ থেমে আছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ১৯৬৮ সালে ১০টি শয্যা নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ এবং তা থেকে ৫০ শয্যা করা হয়। শয্যা বাড়লেও ৪৬ বছরে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। পুরনো পরিত্যক্ত সেই ভবনেই উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে।
বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ১৮ থেকে ২০ ভাগ কাজ হওয়ার পরই তা থেমে যায়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, তারা যখন হাসপাতাল শয্যায় শুয়ে থাকেন তখন উপরের ছাদ থেকে বালি সিমেন্ট ঝুরঝুড়িয়ে তাদের নাকে, মুখে পড়ে এবং বিছানা একটু পর পর ঝাড় দিতে হয়। ফলে কখন যে পুরো দেয়াল ভেঙ্গে তাদের উপর পরে সে আতঙ্কে থাকতে হয়। জরাজীর্ণ এই ভবনে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শুধু তিনিই নন অন্য রোগীরাও আতংকের মধ্যে থাকেন। আরেকজন রোগী বলেন, তারা এই পরিবেশে সুস্থ্য হতে এসে আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর কারণে ভবন নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিবেশে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি মনে করছে কর্তৃপক্ষ। গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ডা. আলাউদ্দীন বলেন, সম্প্রতি অসম্পূর্ণ ভবনের কাজ শুরু করার জন্য টেন্ডার হয়েছে। ঢাকায় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন ভবন হয়ে গেলে এখানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসিরও প্রত্যাশা শিগগিরই গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার অবকাঠামো তৈরি করে মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে সরকার।