রাজধানীর রূপনগরে গত মাসে খুন হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তালুকদারের হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মূলত পুলিশ পরিচয় জানার পর ঝামেলা হবে- এমন কথা চিন্তা করেই ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করে।
পুলিশের দাবি প্রথমে মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করার পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা।
রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেসবিফ্রিং এ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে ডিএমপির গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি টিম গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় জড়িত মো. শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডা (৬২) নামে একজনকে আটক করে।
“পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম জানায়, গত মাসের ২১ তারিখে তার সহযোগী মিন্টু কামাল ও ফারুক ফজরের আযানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের মসজিদের পাশে অবস্থান করছিল। ওই সময় অফিস যাওয়ার উদ্দেশে মিজানুর একটি প্রাইভেটকারে উঠে। যেটা ছিল ছিনতাইকারীদের। ওই গাড়ির ড্রাইভার জাকির খুব জোরে গান বাজিয়ে লাইট বন্ধ করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে জসিমউদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউস ব্লিডিং এবং পরে উত্তরার ১০ নং সেক্টরের দিকে যায়।”
মনিরুল বলেন, ‘এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি লোক। এরপর গাড়ির পেছনে বসা মিন্টু, ফারুখ ও শাহ আলম বুড্ডা (৬২) তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে গাড়িতে থাকা জুট কাপড়রের টুকরা মিজানের গলায় পেঁচিয়ে ধরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের ভয়ে ছিনতাইকারীরা উত্তরার ১০নং সেক্টরের গলির পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছায়।’
“পরে বিরুলিয়া ব্রিজের আগে রাস্তার বাম পাশে ঘন গাছতলায় মিন্টু, কামাল, ফারুখ ও শাহ আলম দ্রুত মিজানুরের মৃত দেহ ফেলে রেখে চলে যায়।”
মনিরুল ইসলাম আরও জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত শাহ আলমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্য তিন আসামিকে ধরতে ডিবি পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত মাসের ২১ তারিখে মিরপুর রূপনগর থানার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় মিজানুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।