নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই অস্থায়ী পরিচয়পত্র পেয়েছেন। এর মাধ্যমে ক্যাম্পে থাকা, চিকিৎসা এবং রেশন নিশ্চিত করা হবে। জরিপ শেষে গত ক’দিন ধরে এই পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এতে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কষ্ট ভুলে খুশি রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমারে ২৫শে আগস্ট সামরিক বাহিনীর নির্যাতন শুরু হওয়ার পর কতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়াটা কষ্টকর। তবে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এর পাশাপাশি এখনও তাদের বাংলাদেশে আসা অব্যাহত রয়েছে।
তাই শৃঙ্খলা এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পরিচয়পত্র দেয়া শুরু করেছে সরকার। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে এই পরিচয়পত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে তৈরি করা হয় এই পরিচয়পত্র। আর সেখানে কার্ড সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন দেখা যায় রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ লাইন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আসা বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতেই এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
সরকার বলছে, কার্ড সংগ্রহের পর বোঝা যাবে এবার প্রকৃতপক্ষে কত রোহিঙ্গা এসেছে। কার্ডে ব্যক্তির নিজস্ব নম্বর, নাম, বয়স, মা-বাবার নামের সঙ্গে নাগরিকত্ব হিসেবে মিয়ানমার উল্লেখ করা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: