চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ঘরের জন্য কার্যকর তথ্যমালা

পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আপনি খুবই সচেতন। ঘরের কোণা কোণা পরিচ্ছন্ন রাখেন কিন্তু চোখের সামনে থাকা খুবই অপরিচ্ছন্ন অংশগুলোই অদেখা থেকে যায় অনেকসময়। আর এসব খুবই সাধারণ জায়গায় থাকা শক্ত দাগগুলোতেই তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া যেটা কিনা একসময় আপনার ঘরকে টয়লেটের থেকেও বেশি নোংরা করে তুলতে পারে।

তাই অবহেলা না করে এসব ছোট ছোট ময়লা ঘর থেকে দূর করে ফেলুন। দেখবেন ঘরদোর আরো বেশি পরিচ্ছন্ন থাকবে। আর আপনিও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

সুইচ: শেষ কবে বাড়ির সুইচগুলো পরিস্কার করেছিলেন? জী২১বাণুর বাসস্থান এই জায়গাটি কিন্তু আপনার শরীরে ছড়াতে পারে নানান রোগ। ফলে আক্রান্ত হতে পারেন ঠাণ্ডা লাগার মতো সমস্যায়। তাই প্রায়ই সেগুলো ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন। অসুস্থতার হাত থেকে অনেকখানি রেহাই পাবেন।

বাসন পরিস্কারের স্পঞ্জ: প্রতিদিন ওই জিনিসটা দিয়েই আপনি আপনার ব্যবহৃত বাসন কোসন ধুয়ে ফেলেন। কিন্তু ওটাতেই যদি জীবাণু লেগে থাকলে তাহলে সেটা বাসন কোসন কিভাবে পরিস্কার করবে। তাই রোজই ভালো করে স্পঞ্জটি পরিস্কার করুন। হালকা গরম পানিতে একবার ধুয়ে ফেলুন স্পঞ্জটি। তারপর ভালো কোনো জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে সারারাত রেখে দিন।

পানির ট্যাপ: কখনো কি এই জিনিসটির দিকে নজর দিয়েছেন? নিশ্চয়ই না। ভাবছেন সারাদিন তো পানির উপরই থাকে ট্যাপটি। ওটা আর আলাদা করে পরিস্কার করার কি আছে। তারপরও রোজই পানির ট্যাপ একবার ভালো করে পরিস্কার করে নিন যেন সেখানে জীবাণু জন্মাতে না পারে। আর জীবাণুই কিন্তু রোগ শোকের প্রধান কারণ।

রান্নাঘরের সিংক: গবেষণায় দেখা যায় রান্নাঘরের সিংকে যে পরিমাণ ইকোলি ব্যকটেরিয়া থাকে ফ্ল্যাশ করার পর টয়লেটের সিটেও সেই পরিমাণে থাকে না। বাসন কোসনে থেকে যাওয়া ছোট ছোট খাদ্যকণা আর প্রকৃতির আর্দ্রতা মিলিয়ে আপনার কিচেন সিংকে ব্যকটেরিয়াকে আরো বেশি সময় বাঁচতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একবার অন্তত সিংক পরিস্কার করে নিন। আর রান্নাঘরকে তো সবসময় আরো বেশি জীবাণুমুক্ত রাখা উচিত।

কম্বল ও বালিশ: কম্বল ও বালিশে থাকা ছোট ছোট ধূলিকণা পরিস্কার করা আসলেই কষ্টের কাজ। প্রতিদিন সেখানে ধূলাবালি জমা হয় আর আমরা সেটাকে উপেক্ষা করতেই থাকি। প্রতিদিন একবার ঝাড়ু দিয়ে সেসব পরিস্কার করে নিন অথবা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ক্লিন করে নিন একদিন অন্তর অন্তর। ধুলার পরিমাণ দেখে নিজেই অবাক হবেন।

এসব পরিস্কার রাখলেই দেখবেন ময়লা-জীবাণু ও ধুলাবালি থেকে অনেক দূরে থাকতে পারছেন। আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার মানেই হলো সুস্থ থাকা।