পরিচালককে বলা হয় ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’। আরেকভাবে বললে, সিনেমা একটি ডিরেক্টিরিয়ার মিডিয়া। নির্মাতা তার মনের নান্দনিকতা মিশিয়ে ছবি নির্মাণ করেন। অথচ, ঢাকাই সিনেমায় প্রায়শই ঘটে এর উল্টো!
এমনই উল্টোচিত্রের খবর পেয়েছে চ্যানেল আই অনলাইন। সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া একটি খবরে দেখা গেছে, পরিচালক আছেন ঢাকায়, কিন্তু নায়ক-নায়িকা ও ইউনিটের অন্যান্যরা মিলে শুটিং করছেন নেপালে!
ঘটনা এমনটাই ঘটেছে চিত্রপরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন এবং তার ছবি ‘মনে রেখো’র ক্ষেত্রে।
গেল ১৬ মার্চ থেকে নেপালের বিভিন্ন লোকেশনে এই ছবির চারটি গানের শুটিং শুরু হয়। সেখানে আছেন কলকাতার নায়ক বনি ও বাংলাদেশের মাহিয়া মাহি। গানগুলোর কোরিওগ্রাফি করছেন বলিউডের আদিল শেখ। তিনি নিজেও সেখানে উপস্থিত আছেন। কিন্তু ছবির পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন আছেন ঢাকায়!
আজ (সোমবার) বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন বলেন: শুটিং ইউনিট নেপালে আছে, আমি ঢাকায় আছি। তিনি বলেন, গানের কোরিওগ্রাফি করছেন আদিল শেখ। তার সঙ্গে আমার লোক রয়েছে। আমি সব বুঝিয়ে দিয়েছি। গানের গল্প, ফ্রেম সব তার জানা আছে, আমি না থাকলেও অসুবিধে নেই।
আপনি ছবির পরিচালক। সেখানে উপস্থিত না থাকলে কীভাবে হয়?-প্রশ্নে ‘সুইটহার্ট’ ছবির এই নির্মাতার ভাষ্য: গানের শুটিংয়ে পরিচালক না গেলেও চলে! আর আদিল শেখকে আমি আমার চাওয়াটা জানিয়েছি। তিনি ঠিকমত কাজ করছেন। গানের শুটিং চলছে, এটা কোরিওগ্রাফারের ব্যাপার। এতে করে ছবির কোনো অসুবিধে হওয়ার কথা না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ (সোমবার) মাহি-বনি দুজনে নেপাল ও চীনের সীমান্তবর্তী এলাকায় শুটিং করছেন। জানা যায়, চারটি গানের শুটিং শেষ করে মাহি ও পুরো ইউনিট দেশে ফিরবেন ২২ মার্চ। ‘মনে রেখো’ ছবিটি প্রযোজনা করছে হার্টবিট কথাচিত্র। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কেন পরিচালক দেশে থাকার পরেও নেপালে শুটিং হচ্ছে জানার চেষ্টা করলে কেউ সাড়া দেননি।
গেল বছরের মার্চে ছবির শুটিং হয়েছিল। এরপর ওয়ার্ক পারমিট ও শিডিউল জটিলতায় কয়েক দফায় এই ছবি নির্মাণ কাজ থেমে থাকে। ‘মনে রেখো’র কাহিনী লিখেছেন দিল মোহাম্মদ দিল। মাহি-বনি ছাড়াও অভিনয় করছেন জয়ী, সোহেল, মিশা সওদাগর, তুলিকা, বিশ্বজিৎ প্রমুখ। এদিকে পরিচালক ছাড়াই ছবির দৃশ্য ধারণের বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি সমালোচনা করছেন অনেক সিনেমা প্রিয় মানুষ।