গুলশানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা এবং অর্থ
যোগানদাতাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর প্রকাশিত ‘হারিয়ে যাওয়া তরুণদের’ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার
জন্য জনগণকে আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাফল্য, ব্যর্থতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানান, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নেওয়া সরকারের উদ্যোগের কথা।
তিনি বলেন, শুধু অবকাঠামো সৃষ্টি নয় বরং বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে সচেতনতা কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৭টি অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এক’শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এরপর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় আক্রান্ত হয়ে উন্নয়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠানের সদস্য এবং বিনিয়োগকারী নিহত হওয়ার উদাহরণ টেনে করা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ এখন বৈশ্বিক ঘটনা। আর সে কারণেই অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের পাশে আছে।
তিনি আরো বলেন, নিখোঁজদের যারা সনাক্ত করতে পারবে তাদের আমি আহ্বান জানাব এই তথ্যগুলো আমাদেরকে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্যগুলো জানালে যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে তো ধরা যাবেই; পাশাপাশি পর্দার আড়ালে যারা এর মদদদাতা, যারা এই পরিকল্পনাকারী, যারা প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, যারা অর্থ দিচ্ছে তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করতে পারব।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, রেল ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ করতে ওয়াই-ফাই এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।