সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহ হত্যার ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেহাগান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের ওপর বজ্রপাতের মতো আঘাত হানা হবে।’
শুক্রবার তেহরানের দামাবন্দ এলাকায় ফখরিজাদাহর ওপর হামলা চালায় আততায়ীরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এই হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ওই হামলাকে কোনো ‘রাষ্ট্রের মদদে’ হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, মোহসেন ফখরিজাদাহ ইরানের গুপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পেছনে রয়েছেন।’
আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা তাকে ‘ইরানি বোমার জনক’ হিসেবে অভিহিত করতেন। তবে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে ইরান শান্তিরক্ষার জন্য বলে দাবি করে আসছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ গতকাল টুইট বার্তায় বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ইরানের একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। তিনি এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন।
তবে ইসরায়েলর পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বিবৃতি এখনো আসেনি।
হামলার পর দেখা যায়, ইরানি বিজ্ঞানীর ব্যবহৃত কালো গাড়ির গ্লাস ছিদ্র করে বুলেট ভেতরে ঢুকে গেছে। রাস্তায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ রয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মীদের বরাতে তেহরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি করে। পরে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এর আগে ২০১০-১২ সাল পর্যন্ত ইরানে পরমাণু নিয়ে গবেষণা নিয়োজিত চারজন বিজ্ঞানী গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছে। তবে ইরান ওই হত্যাকাণ্ডের এর জন্য সবসময় ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে।