ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা পপি এবং বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অপু বিশ্বাস কোথায় তা জানেন না চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। একাধিক কাজ হাতে রেখেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে এধরণের উধাও হয়েছেন জনপ্রিয় এ দু’অভিনেত্রী। এমনকি পেশাদারিত্ব থেকেও অনেকটা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছেন তারা।
গত বুধবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া পপির বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা নারগিস আকতার। আগামী ১২ আগস্ট পপি ও টনি ডায়েস অভিনীত সিনেমা ‘পৌষ মাসের পিড়িত’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আর এ ছবির মাধ্যমে বহুদিন পর সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে পপিকে।
ওই ছবির সংবাদ সম্মেলনে ছবির কলাকুশলী ছাড়া মিডিয়াকর্মীরা আশা করেছিলেন লাক্স তারকা পপি থাকবেন সম্মেলনে। কিন্তু সব ফিঁকে হয়ে যায় ছবির নায়িকা উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়েই মিডিয়ার সামনে হতাশা প্রকাশ করেন ‘মেঘের কোলে রোদ’ খ্যাত নির্মাতা নারগিস আকতার।
তিনি বলেন, পপির ব্যবহৃত তিনটি মুঠোফোন নম্বর আমার কাছে আছে। কিন্তু সব ক’টিই বন্ধ। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উপায় না পেয়ে আমার সহকারীকে পরপর তিনদিন তার বাসায় পাঠাই। কিন্তু একদিনও পপিকে বাসায় পাওয়া যায়নি। বরং তার বাসায় তালা ঝুলতে দেখেছে আমার সহকারী। পপির কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি।
তিনি আরও বলেন, পপির ছবি মুক্তি পাচ্ছে অথচ সে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেই। এটা ভাবতে আমারই খুব লজ্জা লাগছে। ছবির আরেক অভিনেতা টনি ডায়েস সুদূর আমেরিকা থেকে স্কাইপিতে বসে সংবাদ সম্মেলনে সবার সঙ্গে মত বিনিময় করলেন, ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলো, কিন্তু পপি এলেন না। অন্তত সে একটাবার খোঁজ নিতে পারতো! কিন্তু তাও করেনি। আমি খুব ভালো করেই জানি পপি ইচ্ছে করেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়নি। তাছাড়া সে একাধিকবার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া একজন অভিনেত্রী হয়ে এমন দায়িত্বহীন কাজটি কীভাবে করলো?
নারগিস আকতারের মত একাধিকার নির্মাতাদের ঠিক একি কথা। একাধিক ছবি চুক্তিবদ্ধ হয়েও পপির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঈদের সময় ছোট পর্দায় তাকে দু’একটি বিশেষ নাটকে দেখা যায়।
পপির মত একইভাবে মিডিয়ার অন্তরালে অপু বিশ্বাস। বেশ কয়েকমাস ধরে অপুর খোঁজ ইন্ডাস্ট্রিসহ তার কাছের মানুষরা দিতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও ওই স্ট্যাটাসগুলো অপু দেন না। তার হয়ে একজন ব্যক্তি অপুর ফেসবুক পেজে অ্যাডমিনের দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কিছুদিন আগে চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিলেন, কারণ চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ছবিগুলোর কাজ তার জন্য আটকে আছে আর সেজন্য লাখ লাখ টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
ঢালিউড বোদ্ধারা মনে করেন, এমন আচরণে ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের কদর কমে যাবে। অবশ্য অনেকে অাবার বলেন, পেশাদারিত্ব থেকেই হয়তো ফিরে আসবেন তাদের আগের অবস্থানে।