কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে মহাসড়কগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সংযোগ সড়কে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর টহলের কারণে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও, দুপুর ১২টার পর মানুষের চলাচল অনেক বেড়েছে। কঠোর লকডাউনে যেহেতু কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে, অনেকে পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছে।
আবার খেটে খাওয়া দিনমজুর অনেককে কাজের আশায় রাস্তায় বসে থাকতেও দেখা গেছে।
এছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় করার কথা থাকলেও অনেকে রেস্টুরেন্টে বসে নাশতা খাচ্ছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় কথা থাকলেও, অনেকে বাজারে এসেছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই। এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সংযোগ সড়ক এবং অলিতে-গলিতে মানুষের আনাগোনা অনেক বেড়েছে।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্তায় থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবও। অপ্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে জেল-জরিমানা করা হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল, শপিংমল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।