সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পতিত জমিতে আবাদ করা হচ্ছে বীজ আলু। লাভজনক এই আবাদের সুযোগ পাওয়ায় পাল্টে গেছে কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের নওপায় রয়েছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। কিন্তু এলাকাটি অপেক্ষাকৃত উঁচু হওয়ায় বছরের বেশীরভাগ সময় অনাবাদি পড়ে থাকে এসব জমি। তিন বছর ধরে একটি বেসরকারি সংস্থা এসব পতিত জমিতে আলু বীজ উৎপাদন করায় পাল্টে গেছে এ অঞ্চলের চিত্র।
প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে একশ’ থেকে একশ’ ১০ মণ আলু বীজ । কৃষক বলছেন, গেল বছরের তুলনায় আলু উৎপাদন করে এ ভালো আয় হবে। ডায়মন্ড আলু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বীজ আলু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হয়েছে অনেকের।
জেলায় উৎপাদিত আলু বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে অন্যান্য এলাকায়।
রায়গঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমরা কৃষকদের আরও উন্নত জাতের আলু উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। ব্লক পর্যায়ে উপ কৃষি কর্মকর্তা যারা রয়েছে তাদের মাধ্যমেও আমরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে কোন আলু চাষে বেশি লাভবান হওয়া যাবে সে ব্যাপারেও উৎসাহিত করছি।