দেশে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুত আছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরবরাহ কয়েকগুণ বেশি থাকায় রমজানে এসব পণ্যের কোনও সংকট হবে না, দামও বাড়বে না। আর কেউ যদি পণ্য মজুদ করে তা রমজানের পর নদীতে ফেলে দিতে হবে।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, বিপণন ও মূল্য পরিস্থিতি’ সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আসন্ন রমজানে এসব পণ্যের সংকট হবে না। একইসাথে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কয়েকগুণ বেশি রয়েছে। তাই পণ্যের দাম বাড়ারও কোন কারণ নেই।
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, রমজানে যেসব ব্যবসায়ী নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় ব্যবসায়ীরা রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দিনের বেলায় রাজধানীতে পণ্য বোঝাই ট্রাক প্রবেশের সুযোগ চান।
বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘রমজানের পর যাতে লোকজন সুনাম করে, রমজানে সব কিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে ছিলো, স্বাভাবিক ছিলো। অন্তত এ সুনামটুকু আমরা অর্জন করতে চাই।’
রমজান উপলক্ষে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য অতিরিক্ত আমদানি করা হয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ বছর কেউ কোনও পণ্য মজুদ করবে না। কারণ, চাহিদার তুলনায় সব পণ্যের সরবরাহ বেশি। তাই কেউ মজুত করলে রোজার পর নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী সরকার এবং ব্যবসায়ীদের একই পরিবারের সদস্য হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘আমরা একে অপরের ভাই। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, রোজার মাসে যেন কোনও দুর্নাম না হয়,বরং সুনাম অর্জন করতে পারি,সে বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করুন। আমদানিকারক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ী সবাই মুনাফা করবেন। তবে তা যেন সহনীয় মাত্রায় থাকে।’
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব শুভাশিস বসু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, অর্থ, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস