পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ছাত্রলীগের মদদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিমের খেলোয়াড়দের উপর স্বাগতিক টিমের সমর্থকরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার ৫ম সেটের খেলা চলাকালীন এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলতে নামা সবাই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে খেলায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় ২-২ সেটে সমতায় ছিল।
প্রতিপক্ষ পবিপ্রবি টিমের ৬ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৫ জনই ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের সদস্য এবং তারা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয় বলে দাবি করে ঢাবি টিমের ম্যানেজার রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ৫ম সেটের খেলার এক পর্যায়ে ২-২ সেটে সমতা ছিল। তখন স্বাগতিক দলের সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করে। পাশেই নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখান থেকে ইট, পাথরের টুকরা ছোঁড়া হয় আমাদের উপর। হামলার মুখে আমরা খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।
ঢাবি টিমের খেলোয়ার সুজন শেখ বলেন, হামলা করার ফলে আমরা সবাই আহত হয়েছি এবং খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বেই আমাদের উপর হামলা করা হয়।
তবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি মোসায়দুল ইসলাম সাদী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, সেখানে ছাত্রলীগের সেক্রেটারীসহ আমরা সবাই ছিলাম। ওদের ওপর কোন হামলা হয়নি।
তবে সামাজিক মাধ্যমে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের খেলোয়াড়রা ছবি পোস্ট করেছেন জানালে তিনি বলেন, ভলিবল খেলা ফোমের ওপর হয় না। এটা মাটিতে হয়। খেলতে গিয়ে পড়ে ওরা আঘাত পেয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, হোস্ট হিসেবে আমরা ওদের যতটুকু পারা যায় আপ্যায়ন করেছি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওদের সব রকমের সহযোগিতা করেছি। ওরা পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে এবং নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে খেলা ওয়াকওভার করেছে।
তিনি আরো বলেন, গতবার ঢাবিতে অনুষ্ঠিত খেলায় ওরা আমাদের টিমকে মাঠেই নামতে দেয়নি। আমরা কিন্তু এমন করিনি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড মো হারুন-উর-রশিদ বলেন, আমি এখন ঢাকায় আছি। ঘটনাটা আমি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুব নিন্দনীয়। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ফিরে আসলে তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব।