আজ ২০ এপ্রিল পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করলো চ্যানেল আই অনলাইন। বিশেষ এদিনে চ্যানেল আই এবং চ্যানেল আই অনলাইনের দর্শক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা ও ক্যাবল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই অনলাইন। পঞ্চম বর্ষে পদার্পণকে দেশের শীর্ষ এ অনলাইন মাধ্যমটি উদযাপন করছে ‘পাঁচ-এ ৫’ স্লোগানে। এর মাধ্যমে একদিকে এর সাফল্য যেমন প্রকাশিত, অন্যদিকে প্রতির্ভাত নীতি-নিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি অঙ্গীকার।
পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে চ্যানেল আই অনলাইনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘প্রোফাইল ফ্রেম’ তৈরি করা হয়েছে। যে কেউ সেখানে ক্লিক করে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে সেই ফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, চ্যানেল আই যেমন এর সংবাদে সবসময় নীতি-নিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে গত দেড় যুগে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রশংসা পেয়েছে, তেমনি চ্যানেল আই অনলাইনও গত চার বছরে এথিক্যাল জার্নালিজমের মাধ্যমে অনলাইনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, চ্যানেল আই অনলাইন পাঁচ বছরে পা রাখলো। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এই পাঁচ বছরে অ্যাচিভমেন্ট কী, আমি বলবো ভালো। বর্তমান সময়ে অনলাইন জার্নালিজম এবং ফেইক নিউজ- এগুলো দ্বারা মানুষ খুব বেশি প্রভাবিত। বিশ্বজুড়েই হাজার হাজার, কোটি কোটি অনলাইন, এর ভেতরে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যে তা যাচাই করা কঠিন। সেই জায়গা থেকে বাছ-বিচার করে একটি সংবাদকে পাঠকের কাছে, দর্শকের কাছে, দেশে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সত্যতার সাথে পাঠানোর কাজটি অনেক কঠিন।
শাইখ সিরাজ বলেন, আপনি হয়তো তাৎক্ষণিক একটি সংবাদ পেয়েই দিয়ে দিলেন, কিন্তু একটু পরেই প্রমাণিত হলো সংবাদটি আসলে সমাজের, রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিজের অস্তিত্ব, নিজের সততা, নিজের জায়গা থেকে পেশাভিত্তিক সাংবাদিকতার যে এথিকগুলো আছে এগুলো মেইনটেইন করে সাংবাদিকতা করাটা সংবাদ মাধ্যমের প্রধান ভূমিকা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সেই জায়গা থেকে অ্যাচিভমেন্টের জায়গায় আমি তৃপ্ত।
তিনি আরও বলেন, চ্যানেল আই এবং চ্যানেল আই অনলাইন সবসময়ই ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’কে ধারণ করে মানুষের পক্ষে নীতি-নিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সবার উপরে ধরে রাখবে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক এবং চ্যানেল আই সংবাদের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি ডিজিটাল কন্টেন্ট পরিবেশন করবে চ্যানেল আই অনলাইন।
এজন্য প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই দর্শক-পাঠকরা সেটা বুঝতে পারবেন। ‘ডিজিটাল এ সময়ে আমরা সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
বাংলাদেশের গণমাধ্যম নানা দিক দিয়ে একটি বিশেষ সময় পার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দর্শক-পাঠকদের কাছে সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের আস্থার জায়গায় কোন সংকট তৈরি হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে কেন– সেটা গণমাধ্যমকে বুঝতে হবে।
পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে চ্যানেল আই এবং চ্যানেল আই অনলাইনের সকল সংবাদকর্মীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান জাহিদ নেওয়াজ খান।
চ্যানেল আই অনলাইনের ডিজিটাল অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া এডিটর তৌফিক আহমেদ বলেন, দেখতে দেখতে পাঁচ বছরে পদার্পণ করলো চ্যানেল আই অনলাইন। এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের সাধ্যমতো বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সংবাদ দর্শক-পাঠকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। একইসঙ্গে আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতায় আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিটি বিভাগ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজের মূল্যায়ণের বাকিটা পাঠক-দর্শকের হাতে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আরও নতুন নতুন কনটেন্ট উপহার দেয়ার চেষ্টা করে যাবো।