সেন্সর বোর্ডের আপত্তি, একই দিনে দুইয়ের অধিক সিনেমা মুক্তি না দেয়ার জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে শুক্রবার দেশের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ন ডরাই’।
চলতি সপ্তাহে ছবিটি চলছে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি ও মহাখালী শাখায়। এছাড়া রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ‘ব্লকবাস্টার’, শ্যামলী সিনেমা, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন, ময়মনসিংহের ‘ছায়বাণী’ ও বগুড়ার ‘মম ইন’-এ।
বৃহস্পতিবার ‘ন ডরাই’ ছবির প্রিমিয়ার শোয়ের আয়োজন করে স্টার সিনেপ্লেক্স। বসুন্ধরা সিটির চার নম্বর হল সন্ধ্যা থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ। দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রীসহ গণমাধ্যমের মানুষেরাই ছিলেন বিশেষ এই প্রদর্শনীতে।
আর এখানেই নিজেদের প্রথম প্রযোজিত এই সিনেমাটি নিয়ে মুগ্ধতার কথা শোনালেন ছবির প্রযোজক ও স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
ছবি শুরুর আগে ‘ন ডরাই’ নিয়ে কথা বলেন প্রযোজক রুহেল। ছবিটির প্রতিটি বিভাগ নিয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। জানান, প্রথম যখন দেশের প্রথম নারী সার্ফার আয়েশার গল্প শুনেছিলেন, তখন থেকেই গল্পটা তার মাথায় গেঁথে যায়। এরপর ভাল একজন চিত্রনাট্যকারের হাতে পড়ে এটি ভিন্নমাত্রা পায় বলে জানান তিনি। আর এটি দুর্দান্তভাবে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরার কাজটি করেছেন নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।
শুধু চিত্রনাট্যকার বা নির্মাতাকেই নয়, এজন্য ছবির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ও সংগীত শিল্পী জেফার, সিনেমাটোগ্রাফার সুমনসহ ছবির সকল কলাকুশলীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই প্রযোজক।
ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ভয়কে জয় করার সিনেমা ‘ন ডরাই’। একটি শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি মুভমেন্টও। নারীর শক্তিকে ছড়িয়ে দিতে এই ছবিটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে প্রিমিয়ার শোতে এসে ছবিটি দেখে প্রায় সবাই ‘ন ডরাই’ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। বিশেষ করে এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফির প্রশংসা করেন সবাই।
দেশের প্রথম নারী সার্ফার নাসিমার উঠে আসার বাস্তব গল্প নিয়ে সিনেমা ‘ন ডরাই’। সামাজিক, পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সার্ফিংয়ের আইকন হয়ে ওঠার অদম্য জীবনের গল্প আছে এই ছবিতে। ছবির অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরা বিনতে কামাল ও শরিফুল রাজ।