চেয়েছিলেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে। কিন্তু হঠাৎ-ই পাল্টে গেল হরিয়ানার মেয়ে মানুশি চিল্লারের জীবনের চিত্রনাট্য। বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট মাথায় এখন তিনি ভেসে বেড়াচ্ছেন তারকাদের উজ্জ্বল আকাশে।
প্রিয়াংকা চোপড়ার পরে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভারতে এলো বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট। নিজের সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এ বছর মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব আদায় করে নিলেন মানুসী চিল্লার।কেবল নিজের আগুন ঝরা সৌন্দর্য দিয়েই নয় পড়াশুনা আর ‘কুচিপুড়ি’ নাচেও সমান পারদর্শী কুড়ি বছরের এই সুন্দরী। দেখে নেওয়া যাক তার জীবনের অজানা দশটি অধ্যায়-
- বাবা-মা দু’জনেই ডাক্তার। ছোটবেলা থেকেই ছুরিকাঁচি দেখেই মানুষ। আর তাই মানুশি চিল্লারও ডাক্তারি বিদ্যা রপ্ত করতে ভর্তি হয়েছিলেন মেডিকেল কলেজে। তাও আবার তার আগ্রহ ছিল ‘কার্ডিয়াক সার্জারিতে’। একেবারে হৃদয় ঘটিত ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে নাড়াচাড়া।
- এগুলোর মধ্যই মানুশি চিল্লার আগ্রহ ছিল ভিন্ন একটা জায়গা । তার মধ্যে একটি হল প্রত্যন্ত কোন গ্রামে ভালো মানের অলাভজনক একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা।
- এছাড়া, মেয়েদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বিষয় নিয়েও কাজ করেন মানুশি। তিনি নারীদের পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করে তুলছেন।
- মানুশির সাথে দেখা করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে। নয়াদিল্লির সেন্ট থমাস স্কুলে। কারণ তিনি এখন এই স্কুল থেকে লেখাপড়া শেষ করে এখন ভগত ফুল সিং সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।
- ছোট বেলায় গান গাওয়ারও চেষ্টা ছিল তার। ওস্তাদ রেখে বাড়িতে গানও শেখানো হত তাকে।
- কেবল ঘরে কিংবা কলেজেই নয়। আউটডোর স্পোর্টসেও তার আগ্রহ। প্যারাগ্লাইডিং, বাঙ্গি জাম্পিং, পানির নিচে স্কুভা ডাইভিংসহ দুঃসাহসী খেলাও তার পছন্দের।
- ১৯৯৭ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জন্মগ্রহণ করা মানুশির, বাবা মিত্র বসু চিল্লার ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার বিজ্ঞানী।
- তার মা নীলম চিল্লার ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের নিউরোকেমিস্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
- মানুশি চিল্লার মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেইজে লেখা আছে- যদি তোমার স্বপ্ন দেখার সাহস থাকে তাহলে তোমার বাঁচার মতোও সাহস আছে। স্বপ্নের জন্য লড়াই করার সাহস রাখো। এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখ।
- আসরের সেরা পাঁচে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনার কাছে কোন কাজটি সর্বোচ্চ বেতনের কাজ বলে মনে হয়? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমার মা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তাকে যথাযথ সম্মান করতে পারাটাই আমার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।