দেশের নৌযানগুলোতে দর্শকদের জন্য পহেলা বৈশাখ থেকে বছরব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং নন্দিত টিভি নাটক ও গান প্রদর্শন করা হবে। আজ শনিবার দুপুরে ‘জলযাত্রায় চলচ্চিত্র, নাটক ও গান উৎসব’ শিরোনামে এক মতবিনিময় সভায় তা জানানো হয়। দর্শক-শ্রোতা-পাঠক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার মতবিনিময় সভায় উভয় সংগঠনের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুরো পরিকল্পনায় সহযোগী হিসেবে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম (চ্যানেল আই)সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার পল্টন কার্যালয়ে সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহাম্মদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সংস্থার সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি এবং কলিমুল্লাহ প্রমূখ। দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল হাসান কিসলু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম সাচ্চু, সহসভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম এবং পরিচালক রাশেদা রওনক খান। আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল শংকর, পরিচালক সোয়েব উল আলম, ইয়ামিন জুয়েল, অধরা জাহান এবং চাঁদপুর সমন্বয়ক রূপক রায়।
মাহবুব উদ্দিন আহাম্মদ বীর বিক্রমের বলেন, ‘নৌযানে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত পরিবেশনা চালানো একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এজন্য আমি আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতাা করব।’
ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল হাসান কিসলু বলেন, ‘দেশাত্মবোধক চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চাই। এই চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে নাটক, সিনেমা আর গানের মধ্য দিয়ে। তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি তুলে ধরতে নৌযানে এমন উদ্যোগ কাজে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
শহিদুল আলম সাচ্চু বলেন, ‘লঞ্চগুলোতে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে নাটক, সিনেমা আর গান প্রচার করলে যাত্রীরা আরও বেশি উপকৃত হবে। বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানে। লঞ্চগুলোতে মুক্তিযুদ্ধে এসব অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কেও জ্ঞান বাড়বে।’
ছবি : জাকির হোসেন